সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম একাদশে নেই দলের সেরা অস্ত্র। অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলতে নেমে তাই হারতে হল মোহনবাগানকে। আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দুরন্ত লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারলেন না শুভাশিস বসুরা। ফাইনালে ওঠার জন্য যুবভারতীর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে।
জামশেদপুরের প্রবল গরম। তার মধ্যে নেই দলের দুই সেরা অস্ত্র মনবীর সিং ও আপুইয়া। খানিকটা ব্যাকফুটে থেকেই সেমিফাইনালের যুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান। জামশেদপুর যাওয়ার আগে কোচ মোলিনা জানিয়েছিলেন, আইএসএল কাপ জেতার লক্ষ্য নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে, এমনটা অনুমান ছিলই। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই লিগ শিল্ড জয়ীদের সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিলেন খালিদ জামিলের ছাত্ররা।
৬ মিনিটের মাথাতেই প্রায় পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল জামশেদপুর। বার্লার ক্রস গিয়ে লাগে আশিস রাইয়ের হাতে। তবে রেফারি কর্নার দেন। তারপর থেকেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শুরু করে জামশেদপুর। ফল আসে ২৪ মিনিটে। তিনজন ডিফেন্ডারের প্রতিরোধ সত্ত্বেও সিভেরিওকে লক্ষ্য করে দারুণ পাস দেন এজে। সেই পাস থেকে দুরন্ত হেডে গোল সিভেরিওর। তবে ১৩ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করল মোহনবাগান। বাঁপায়ে জেসন কামিংসের নেওয়া ফ্রিকিক সোজা ঢুকে গেল জামশেদপুরের গোলে। চেষ্টা করেও শট বাঁচাতে পারেননি গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ ১-১ ছিল ম্যাচের ফল। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে সংযুক্ত সময়ে জয়সূচক গোল জামশেদপুরের। মাঠের বাঁদিক থেকে ঋত্বিক দাসের ক্রস ধরে বিদ্যুৎগতিতে শট মারেন জাভি হার্নান্ডেজ। ওখানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। তবে হারলেও ফাইনালে যাওয়ার যথেষ্ট আশা রয়েছে মোহনবাগানের। ম্যাচ শেষে কোচ মোলিনা জানিয়ে গেলেন, টিমের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। ফিরতি লেগে যুবভারতীতে একেবারে অন্য রূপে নামবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।