সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা। অন্যদিকে, প্রায় তারকাহীন একটা দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ওঠার অনাবিল আনন্দ। আর্সেনাল এবং পিএসজি, দুই শিবিরের চিত্রকে এভাবেই ব্যাখা করা যায়। বুধবার মধ্যরাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে দিয়েছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে এগ্রিগেটে পিএসজি'র পক্ষে ফলাফল ৩-১। আর এমন সাফল্যই তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পিএসজি'র এই সাফল্যে হয়তো মনে মনে আফশোস করছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে।
প্রথম লেগের ম্যাচে আর্সেনালের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল পিএসজি। ১ গোলের অ্যাডভান্টেজ নিয়ে পার্ক দে প্রিন্সেসে নামে তারা। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে ফ্যাবিয়ান রুইজের দুর্দান্ত ভলিতে এগিয়ে যায় পিএসজি। গোল শোধের প্রচেষ্টায় আর্সেনাল বারবার উঠে এলেও সেই সব আক্রমণ ফলপ্রসূ ছিল না। এক্ষেত্রে পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায় পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ট্যাকটিকাল ফুটবলের উপর জোর দেন লুইস এনরিকের ছেলেরা। এই সময়টায় আর্সেনালের মার্তিনেল্লি, ওডেগার্ডরা তেড়েফুঁড়ে খেলার চেষ্টা করলেও গোল হয়নি। এরই মধ্যে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পিএসজি'র ভিতিনহার। যদিও দু'মিনিটের মধ্যে আচরাফ হাকিমি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন পিএসজি'কে।
৭৭ মিনিটে বুকায়ো সাকা গোল করে আর্সেনালের পক্ষে ব্যবধান কমান। তবে ভূরি-ভূরি সুযোগ নষ্টই তাদের আর ম্যাচে ফিরতে দেয়নি। এভাবেই ২-১ গোলে জিতে পাঁচ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছাল পিএসজি। ম্যাচের পর আর্সেনাল কোচ মাইকেল আর্টেটা বলেন, "আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি। প্রথম ২০ মিনিটেই ফলাফল ৩-০ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু গোল করতে পারিনি। তাই আমরা ফাইনালে নেই। গোটা টুর্নামেন্টে আর্সেনালই সেরা দল। তবুও ফাইনালে উঠতে পারলাম না। তবে, এমন দলকে নিয়ে গর্বিত।"
২০২০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হার স্বীকার করেছিল পিএসজি। ৩১ মে ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে পিএসজি। এদিকে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তাঁর লক্ষ্য ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়। অথচ রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব পায়নি তাঁর ক্লাব। অথচ ফরাসি তারকার প্রাক্তন ক্লাব পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। তারা ইন্টার মিলানকে হারিয়ে দিলে হয়তো মনে মনে আফশোস করবেন এমবাপে।
