অর্ণব আইচ: মোড়কে রয়েছে কিউআর কোড। তবু ভুয়ো কিউআর কোডে (QR Code) সবুজ বাজির আড়ালেই শহরের কিছু জায়গায় নিষিদ্ধ ‘বিষাক্ত’ বাজি বিক্রির অভিযোগ। এই ব্যাপারে সতর্ক হল পুলিশ। লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, বেআইনি বাজির সন্ধানে সারা কলকাতাজুড়েই শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবু প্রশ্ন উঠেছে, বাজির মোড়কে কিউ আর কোড থাকলেই তা যে আসল সুবজ বাজি, তা কীভাবে বোঝা যাবে? পুলিশের মতে, বাজির বাজারে নকল বাজি বিক্রি হবে না, সেই ভরসা তাঁদের রয়েছে। তবু অন্যান্য দোকানে বিক্রি হওয়া বাজিগুলি সবুজ বাজি কি না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পুলিশের বিশেষ টিম পরীক্ষা শুরু করেছে।
শব্দবাজি বহু বছর ধরেই নিষিদ্ধ। আর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাধারণ আতসবাজিও। কারণ, পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এই ‘নিরীহ’ আতসবাজির আড়ালেই রয়েছে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়ানো ক্ষতিকর বস্তুটি। তাই কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে শুধু পোড়ানো যাবে সবুজ বাজি। ওই সবুজ বাজি চেনা যাবে মোড়কে থাকা কিউ আর কোড দেখে। ওই কিউ আর কোড স্ক্যান করেই বাজির সম্পর্কে জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: সবুজ বাজিতে এখনও মেলেনি ছাড়পত্র, কালীপুজোর আগে প্রবল সমস্যায় ব্যবসায়ীরা]
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে কোথাও নিষিদ্ধ শব্দবাজি বা আতসবাজিও ফাটছে কি না, সেদিকে যেমন নজর থাকবে, তেমনই যাতে রাত দশটার পর কোনও বাজি না পোড়ানো হয়, তাও খতিয়ে দেখা হবে। সেই কারণেই টহলের উপর নজর বৃদ্ধি করেছে লালবাজার। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, প্রত্যেকটি থানার গাড়ি ও বাইক এলাকায় টহল দেবেই। তার উপর অলিগলিতে পুলিশ টহল দেবে অটো করে। একেকটি অটোয় একজন পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে থাকবে চারজনের পুলিশের টিম। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টদেরও টহলের জন্য মোতায়েন করা হতে পারে। এছাড়াও অন্তত দু’শোটি পিকেট থাকবে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে টহল দেবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও।
আবাসনের ছাদ বা চত্বরে যাতে নিষিদ্ধ বাজি না ফাটে, তার জন্য এখন থেকেই পুলিশ প্রচারে নামছে। কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে বিভিন্ন বহুতলের ছাদকে ওয়াচটাওয়ার বানিয়ে নাইট ভিশন বাইনোকুলারে থাকবে নজরদারি। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার তিনটি জায়গায় বাজি বাজার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বেশি ভিড় না হলেও শুক্রবার থেকে দীপাবলি পর্যন্ত ভিড় হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। বাজি বাজারেও সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।