সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদের দাবি জানাচ্ছে ভারত। বৃহস্পতিবার আরও একবার এই দাবিতে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এখনও পর্যন্ত ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য না করায় রাষ্ট্রসংঘের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
এদিন দিল্লির এক অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের প্রসঙ্গ। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী সদস্যপদ না দেওয়া নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় রাষ্ট্রসংঘকে আক্রমণ করেন জয়শংকর। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “১৯৪০ সালে রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময় ৫০টি দেশ এর সদস্য ছিল। এখন দু’শোর বেশি দেশ এর সদস্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘেরও পরিবর্তন হবে। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারত আজ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এরপরেও ভারতকে এখনও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হচ্ছে না। এতে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। ইতিহাস আমাদের সাক্ষী আছে, রাষ্ট্রসংঘে পরিবর্তন আসবে। যারা আমাদের পথে বাধা দিচ্ছে,তারা শুধু চেষ্টাই করে যাবে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।”
[আরও পড়ুন: হিন্দু যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কীসের? আহমেদাবাদে মুসলিম তরুণীকে হেনস্তা, মারধর পুরুষ সঙ্গীকে]
উল্লেখ্য, আধুনিক দুনিয়ায় সময়ের দাবি মেনে পরিষদে সংস্কারের পক্ষে বারবার সওয়াল করে এসেছে নয়াদিল্লি। ভারতের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সভাপতি সাবা করোসি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবা করোসি বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মনে করে, পরিষদে আরও ভাল প্রতিনিধির প্রয়োজন রয়েছে। এমন দেশের প্রয়োজন রয়েছে যারা শান্তিস্থাপন ও মানুষের উন্নতির বৃহত্তর দায়িত্ব বহনে সক্ষম। ভারতও এমন একটি দেশ। সার্বিকভাবে বিশ্বের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে পারে বলেই বিশ্বাস ভারতের।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই পাঁচ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া নয়াদিল্লির দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু বাদ সেধেছে চিন। এদিন নাম না করেও চিনকে একহাত নিয়েছেন জয়শংকর।