ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল গোটা দেশ। রাজ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণে লাগাম টানতে বিভিন্ন রাজ্যে নয়া কোভিডবিধি জারি করা হয়েছে। কার্যকর হয়েছ একাধিক বিধিনিষেধ। এবার রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম চালু করল সরকার।
মঙ্গলবার বনদপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পর্যটকদের জন্য বনদপ্তরের (Forest Bungalow) বাংলো বুকিং আপাতত নিষিদ্ধ। আগে যারা বুকিং করে রেখেছিলেন, তাদের বুকিংও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে খবর। ইতিপূর্বে দীঘা, শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ এবং দার্জিলিঙে স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। করোনার জেরে ফের একবার বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে পর্যটন শিল্প।
[আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: করোনা আক্রান্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, ICU-তে চিকিৎসাধীন]
কোভিডের (COVID-19) বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বিধিনিষেধ জারি হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করেই রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি ৩ তারিখ থেকে বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। অযোধ্যা পাহাড় থেকে সুন্দরবন, দার্জিলিং থেকে দিঘা – সর্বত্র ছবিটা প্রায় একইরকম। এছাড়া রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির হোটেল, লজ, কটেজ, রিসর্টে একের পর এক বুকিং বাতিল করতেও শুরু করেছেন পর্যটকরা।
রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি, তা মানছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজন। তাই হঠাৎ করেই আপাতত টুরিস্ট স্পট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেল, লজ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আবার নতুন করে সমস্যায় পড়লেন গাইডরা। কারণ তাঁরা বাড়তি আয়ের জন্য এই পর্যটনের মরশুমের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। সব মিলিয়ে হতাশ পর্যটক থেকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলেই।
[আরও পড়ুন: পরনে শুধু সাদা শার্ট, গয়নার মাঝে সুস্পষ্ট বক্ষবিভাজিকা, সুপারহট অবতারে পাওলি দাম]
প্রসঙ্গত, গত ২০২০, ২০২১ সালের পর ২০২২-এও রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি ও বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিকে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ট্রেনের সময় ও যাত্রী সংখ্যাও। শপিং মল, রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। খাস কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাগে আসছে না করোনা ভাইরাস। সেই কারণেই এবার তৃণমূল সরকার আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কিছুদিনের জন্য সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে শপিং মল। এছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে জারি হতে পারে কড়া নিষেধাজ্ঞা।