সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষাদপ্তর, পর্যটন দপ্তরের পর এবার বনদপ্তরের কাজের স্বীকৃতি। রাজ্যের বনদপ্তরের ঝুলিতে এল ‘স্কচ’ (সিলভার) পুরস্কার। রবিবার জাতীয় স্তরের এই পুরস্কার প্রাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের হাত ধরে রাজ্যের মুকুটে একগুচ্ছ ‘স্কচ’ (SKOCH) পালক জুড়ল। এ নিয়ে গত তিনমাসে মোট ৮ টি ‘স্কচ’ পুরস্কার পেল রাজ্য। শনিবারই স্কুলশিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তর – দুইই ‘স্কচ’ (গোল্ড) পুরস্কার পেয়েছে। একইদিনে পর্যটন দপ্তরও একই বিভাগে পুরস্কৃত হয়। আর রবিবার এল আরও একটি সুখবর। এবার স্বীকৃতি পেল রাজ্যের বনদপ্তর।
রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে পরপর বছরগুলোয় বয়ে গিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। কখনও ‘ফণী’, কখন ‘আমফান’, আবার কখনও ‘যশ’-এ বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। তছনছ হয়ে গিয়েছে ম্যানগ্রোভ (Mangrove) বনাঞ্চল। কিন্তু বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। সুন্দরবন এলাকায় ৫০ কোটি ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশমতো দ্রুত গাছ লাগানোর কাজ শুরুও হয়। পরবর্তীতে তার সুফল মেলে। রবিবার ‘স্কচ’ পুরস্কারের শংসাপত্রে স্পষ্ট করে এই ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে বনদপ্তরের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কারণেই যে এই পুরস্কার, তাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়! রাজ্য পুলিশ দিয়েই পুরভোট করাতে চায় কমিশন]
এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক দপ্তরের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘স্কচ’ পুরস্কার মিলেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে জাতীয় স্তরে সম্মানিত হয়েছিল বাংলা। রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হয়েছিল চারটি স্কচ অ্যাওয়ার্ড। সেবার একটি প্ল্যাটিনাম, একটি গোল্ড ও দু’টি সিলভার অ্যাওয়ার্ড ছিল। শনিবার শিক্ষাদপ্তরের ফের মিলেছে দু’টি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড। ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বা শিল্পসাথী প্রকল্পের জন্য ‘স্কচ প্ল্যাটিনাম’ পুরস্কার জিতেছিল বাংলা। গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া সরলীকরণের জন্য ‘স্কচ সিলভার’ অ্যাওয়ার্ড এসেছে রাজ্যের ঝুলিতে। ‘সিলভার স্কচ’ অ্যাওয়ার্ড এসেছে ই-নথিকরণ বিভাগের পরিষেবার জন্য। আর বনদপ্তরও পেল ‘স্কচ’ (সিলভার) পুরস্কার।