রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তাজপুরে সমুদ্রের ধারে বনদপ্তরের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান-ঘর গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। তা সরাতে গিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির বাধার মুখে পড়লেন দপ্তরের আধিকারিকরা। মন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন বনদপ্তরের আধিকারিক তথা কাঁথির রেঞ্জার মণীষা শ। মন্ত্রী তাঁকে হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর।
বনদপ্তরের অভিযোগ, বনদপ্তরের জায়গায় আগে থেকেই কয়েকটি দোকান ছিল। তবে সমুদ্রের জলে সেই দোকান তলিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে নতুন করে বনদপ্তরের জায়গায় দোকান করেন ওই ব্যবসায়ীরা। বনদপ্তর বাধা দিতে গেলে ঘটনাস্থলে আসেন রামনগরে বিধায়ক অখিল গিরি। বনদপ্তরের আধিকারিকের অভিযোগ, মন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধ নির্মাণ করান। বনদপ্তরের আধিকারিকরা যখন বাধা দেন তখন তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হয় বলে দাবি।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগের মাঝে জল ছাড়ল ডিভিসি, বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা]
এদিকে মন্ত্রীর কথায়, সমুদ্রের ধারে ছিল দোকানগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেরে সমুদ্রের বাঁধ ভেঙে যায়। যার জেরে সমুদ্রের গর্ভে চলে যায় দোকাগুলি। বাঁধ মেরামত হওয়ার কথা। সেই সময়টুকুর জন্য এই দোকানগুলি নতুন করে বানানো হয়েছে। অখিল গিরির অভিযোগ, "শুক্রবার রাতেই দোকানের বাঁশের খুঁটি কেটে দেয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বনদপ্তরের জমিতে অনেক নির্মাণ হয়েছে। তাঁদের কিছু বলতে পারে না। গরিব মানুষ পেয়ে তাঁদের পেটে লাথি মারছে বনদপ্তর।" উচ্ছেদ হলে প্রতিবাদ হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। কাঁথির রেঞ্জার মৌমিতা সাউ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, "অবৈধভাবে দোকান বসেছিল। তাদের বাধা দেওয়া হয়।" কিন্তু মন্ত্রীর হুমকি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ধমকে'র পরই রাজ্য়জুড়ে অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সরকারি জমিতে বেআইনি হকার বসতে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাধার মুখে পড়ছেন সরকারি কর্মীরা। কখনও রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মী তো কখনও মন্ত্রী-বিধায়কদের বাধার মুখে পড়ছেন তাঁরা।