সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লুকআউট নোটিসের মাঝে ফোন, ভিডিও কলের পর এবার সশরীরে দেখা মিলল মানিক ভট্টাচার্যের। শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খোলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। প্রথমে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলেন। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করা উচিত নয়। বাজার করা, ওষুধ কিনতে যাওয়ার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেওয়ার আরজিও জানান তিনি। তবে বাড়ির বারান্দা থেকে নিচে নামার অনুরোধ করলেও, রাজি হননি তিনি।
গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছিল, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যে জন্য আইনি পরামর্শ নিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শের পরই লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। আর তারপরই সবাইকে চমকে দিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর তাঁর পরিচিত সাংবাদিকদের ভিডিও কলে কথা বলতে শোনা যায় মানিকবাবুকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি। কোথাও যাওয়ার প্রশ্ন নেই। কোথাও যাইনি। কেন এই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর আমার কাছে নেই। কারণ এই বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যে সমস্ত সংস্থা আমাকে যখন যেভাবে, যা সহযোগিতার কথা বলেছে, যা আমার কাছে নির্দেশ এসেছে সেগুলি আমার তরফ থেকে কখনও লঙ্ঘন করা হয়নি। কিন্তু কেন এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, আমি জানি না। আমার স্বাভাবিক জীবনটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি! এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের জালে পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান]
এরপর শনিবার সকালে একেবারে সশরীরে দেখা দেন তিনি। সাংবাদিকরা বাড়ির নিচে নেমে আসতে বলেন তাঁকে। তবে বারান্দা থেকে নিচে নামতে রাজি হননি। গাছপালায় ভরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন মানিকবাবু। তিনি বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না। তদন্তে অসহযোগিতা আমি করিনি। যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি। দয়া করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিন।”
আরও একবার ‘মানিক রহস্য’ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “ইডি, সিবিআই খুঁজে পায়না। মিডিয়ার হাতে বাড়িতে থাকার ভিডিও। জানা নেই কী রহস্য। হয় ওনাকে ইডি চেনে না। নাহলে অন্য কোনও গল্প আছে।” এসবের মধ্যে শুক্রবার বিধায়ক হিসাবে মানিকবাবুর পাওয়া পুলিশি নিরাপত্তাও তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিককে আর রাজ্য পুলিশের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।