সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার শেষ হল চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেই তৃতীয়বারের জন্য সেদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হল শি জিনপিংকে (Xi Jinping)। কিন্তু অধিবেশনের সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হল যখন চিনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওকে তড়িঘড়ি মিডিয়ার সংশ্রবে আসতে না দিয়ে প্রায় জোর করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল।
৭৯ বছরের জিনতাং বসেছিলেন জিনপিংয়ের পাশেই, একেবারে প্রথম সারিতে। প্রথা মেনে সেখানেই বসেছিলেন বেজিংয়ের অন্য শীর্ষনেতারাও। এরপরই ঘোষণা করা হয় জিনপিং প্রত্যাবর্তন করছেন মসনদে। তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান প্রবীণ নেতা। কিন্তু এরপরই তাঁর কাছে আসেন দুই নিরাপত্তা কর্মী। তাঁরা জিনতাংকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাঁর শরীরী ভাষা থেকে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে, তিনি আদৌ আগ্রহী নন অধিবেশন ছাড়তে। বেশ কিছুক্ষণ তিনি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রায় জোর করেই সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণ ও যৌনাঙ্গে রড ঢোকানোর ভুয়ো অভিযোগ, মহিলার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থার আরজি মহিলা কমিশনের]
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ১০ বছরে মেয়াদ শেষে জিনপিংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন জিনতাং। এবারের কংগ্রেসের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে দেখা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত শনিবার স্থানীয় ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হলে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এবারের কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল ছিল জিনপিংকে ঘিরেই। এবারই ১০ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন তিনি।
কিন্তু তাঁর জিরো কোভিড নীতি, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। বেজিংয়ের রাজপথে দেখা গিয়েছিল ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’, ‘আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, চাই খাবার। লকডাউন চাই না, চাই স্বাধীনতা’ লেখা ব্যানার। মনে করা হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত হয়তো ক্ষমতাও হারাতে পারেন তিনি। এর আগে রটে গিয়েছিল তিনি নাকি গৃহবন্দি হয়েছেন। যদিও পরে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেখা দিয়েছিলেন চিনা (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এবার ফের মসনদেও পুনরাগমন ঘটল তাঁরই।