সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালির অশান্তিতে উসকানির অভিযোগ। গ্রেপ্তার প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। রবিবার সকালে বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাঁকে। বাঁশদ্রোণী থানায় বসিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা জেরাও করা হয় তাঁকে। দুপুর তিনটে নাগাদ বাঁশদ্রোণী থানায় পৌঁছয় বসিরহাট থানার পাঁচ পুলিশ আধিকারিক। কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় বাম বিধায়ককে। বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। বাঁশদ্রোণী থানা থেকে বেরনোর সময় নিরাপদ বলেন, “অন্যায় হচ্ছে। চরম অন্যায় হচ্ছে। বিচার হবেই।” পুলিশি ‘অত্যাচারে’র বিরুদ্ধে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ একজোট হবেন বলেই আশা তিনি। এদিকে, নিরাপদকে মুক্তির দাবিতে সন্দেশখালির ১ ও ২ নম্বর ব্লকে বারো ঘণ্টার বন্ধ ডাকল সিপিএম।
পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বেপাত্তা’ তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় নিরাপদ সর্দারকে। কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাঁকে। আটক হওয়ার পর থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে নিরাপদ সর্দার বলেন, “৪-৯ ফেব্রুয়ারি এলাকায় ছিলাম না। কেন আটক করা হল তেমন কোনও কাগজ পুলিশ দেখাতে পারেনি।” পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিজুড়ে ‘স্বৈরাচারী শাসন’ চলছে। কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেপ্তার করা হয় নিরাপদ সর্দারকে।
[আরও পড়ুন: মনুয়া কাণ্ডের ছায়া অশোকনগরে, প্রেমিকের সঙ্গে ফন্দি এঁটে স্বামীকে ‘খুন’ যুবতীর!]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন আধিকারিক হামলার শিকার হন। তার পর থেকে ফাঁকা সাম্রাজ্য। এখনও পর্যন্ত দেখা নেই শেখ শাহাজাহানের। ইডি প্রাথমিকভাবে দাবি করে, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তবে পরে যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বাংলাদেশ নয়, সুন্দরবনের আশেপাশেই রয়েছেন শাহজাহান। সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র অন্তর্ধান রহস্য নিয়েও মুখ খোলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। তিনি দাবি করেন, সন্দেশখালি থেকে নদী পেরিয়ে কড়াকাঠি দ্বীপে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বার বার শাহজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গ্রেপ্তার করা হল নিরাপদকে। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বাঁশদ্রোণী থানা-সহ দিকে দিকে বিক্ষোভ সিপিএমের।