সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময়ে স্পিডস্টার বলা হত তাঁকে। দেশের হয়ে দুটি টেস্ট ম্যাচও খেলেছিলেন। সেই ডেভিড জনসন (David Johnson) প্রয়াত। পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় জনসনের। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
মৃত্যুকালে ডেভিড জনসনের বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত দেশের প্রাক্তন লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে-সহ আরও অনেকে। শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব জয় শাহও।
[আরও পড়ুন: ইউরো যুদ্ধে মুখোমুখি দুই ‘ফুটবল স্কুল’, স্পেনকে রুখে দেওয়ার হুমকি ইটালির কোচ স্পালেত্তির]
১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল জনসনের। মাইকেল স্ল্যাটারের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেবার একটিই টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার। সেই টেস্টের কয়েকমাস পরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডেভিড জনসনকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। হার্শেল গিবস ও ব্রায়ান ম্যাকমিলানের উইকেট নিয়েছিলেন ডেভিড জনসন। প্রতিশ্রুতি জাগিয়ে শুরু করলেও ডেভিড জনসনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ওই দুটো টেস্ট ম্যাচই খেলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার স্বল্পস্থায়ী হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু ডেভিড জনসন সফল। ৩৯টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তিনি খেলেন। ১২৫টি উইকেট নেন তিনি। তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটে চার বার পাঁচ উইকেট দখল করেন। কেরালার বিরুদ্ধে ১৯৯৫-৯৬ সালের রনজি ট্রফিতে ডেভিড জনসন ১৫২ রানের বিনিময়ে ১০টি উইকেট নেন। এই পারফরম্যান্সের জন্যই ডেভিড জনসন জাতীয় দলে ডাক পান।
একসময়ের বন্ধুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অনিল কুম্বলে লিখেছেন, ''আমার বন্ধু ডেভিড জনসনের প্রয়াণের খবরে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বেনি, খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে।'' বোর্ড সচিব জয় শাহ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ''দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড জনসনের প্রয়াণে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। দেশের ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘সব ফাঁস করে দেব’, বরখাস্ত হয়েই ফেডারেশন কর্তাদের গোপন কথা প্রকাশ্যে আনার হুমকি স্টিমাচের]