গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: শুক্রবারই বসিরহাটের আইএসএফ প্রার্থী বদলের কথা ঘোষণা করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, পারিবারিক সমস্যা। কিন্তু পূর্বের প্রার্থী শহিদুল ইসলামের মুখে অন্য কথা। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে উঠে এল জোট জট।
প্রথম দফায় মোট আটটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। সেই তালিকায় নাম ছিল শহিদুল ইসলামের। বসিরহাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পরবর্তীতে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে জোট জটকেই তুলে ধরেছেন শহিদুল। কী জানিয়েছেন তিনি? শহিদুলের কথায়, তিনি সিপিএম কর্মী। চেয়েছিলেন জোটটা হোক। জোটের প্রার্থী হয়েই লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। বলেন, "বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোটটা হয়নি। আমি বুক চিতিয়ে সিপিএম পার্টিটা করি। পিছিয়ে আসার ছেলে আমি নই। কিন্তু এভাবে লড়াই সম্ভব নয়।"
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের রোষানলে বলিউডের ‘খান সাম্রাজ্য’! শাহরুখ-সলমনদের হয়ে ‘ধুয়ে দিলেন’ ভারতীয়রা]
এদিন শহিদুল জানান, জোট হচ্ছে না মোটের উপর তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরই প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত ২৮ তারিখ আইএসএফ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এর পরই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় বসিরহাটে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আইএসএফ। বসিরহাট আসনে আইএসএফের প্রতীকে লড়বেন আক্তার আলি বিশ্বাস। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পূর্বের প্রার্থী শহিদুল জানান, দল তাঁর সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ। প্রসঙ্গত, লোকসভায় বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চললেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী ঘোষণার পর জোট না হওয়ার দায় বামেদের কাঁধেই ঠেলেছেন আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি।