সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারিতে অবশেষে সাজা ঘোষণা করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তিন বছরের কারাদণ্ড হল ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার। শনিবার শাস্তি ঘোষণা করলেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারপতি ভারত পরশার। বুধবারই কয়লা কেলেঙ্কারিতে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আরও তিনজনকে আদালত দোষী বলে ঘোষণা করেছিল। এদিন ছিল রায় ঘোষণার দিন।
[নোট বাতিলের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে ভারতে, ভূয়সী প্রশংসা IMF-এর]
এদিন সেই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বিজয় জোশি, প্রাক্তন কয়লা সচিব এইচ সি গুপ্তা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্য সচিব এ কে বসুরও তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিয়ম বর্হিভূতভাবে বেসরকারি সংস্থাকে কয়লা খনি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল মধু কোড়ার বিরুদ্ধে। ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যসচিব ও কয়লাসচিবেরও নাম জড়িয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর, আরও দু’জন আমলা ও একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ২০০৭ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজহারা নর্থ কয়লা খনিটি লিজ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ভিনি আয়রন স্টিল উদ্যোগ নামে একটি সংস্থা। যদিও ওই সংস্থার আবেদন খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় ইস্পাত ও ঝাড়খণ্ড সরকার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার নির্দেশে ওই সংস্থাকে কয়লা খনি লিজ দেওয়ার সুপারিশ করে স্কিনিং কমিটি। এমনকী, ওই সংস্থার আবেদন যে ঝাড়খণ্ড সরকার যে খারিজ করে দিয়েছে, সে তথ্যও চেপে যান স্কিনিং কমিটির চেয়ারম্যান ও তৎকালীন কয়লাসচিব এইচ সি গুপ্তা।
[কংগ্রেস হারলেও মোছা যাবে না, নয়া সভাপতি রাহুলের চ্যালেঞ্জ]
কয়লা কয়লা দুর্নীতিতে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া ও তাঁর জমানায় মুখ্যসচিব, কয়লাসচিব-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে নাম ছিল আয়রন স্টিল উদ্যোগ নামে অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টর, দু’জন আমলা ও এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টেরও। এর আগে বুধবার সেই মামলাতেই মধু কোড়া, তৎকালীন মুখ্যসচিব ও কয়লাসচিবকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বাকি অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেলেন। বৃহস্পতিবার দোষীদের সাজা ঘোষণা করবেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। প্রসঙ্গত, মামলা চলাকালীন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছিল আদালত।