টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী (Former Minister of West Bengal) তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। রবিবার বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে বলে সূত্রের খবর।
গত ৩৪ বছর ধরে বিষ্ণুপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyama Prasad Mukherjee)। অভিযোগ, সেই সময় ৫৫টি প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলিতে কোনও কাজ হয়নি। এ নিয়ে তদন্ত করে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট দেন চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন মহকুমা শাসক। দেখা যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আমলে পুরসভায় প্রায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশে এই আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছেন বিষ্ণুপুরের এসডিও কুতুবউদ্দিন খান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারির কথা জানিয়েছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
[আরও পড়ুন: সোমবার থেকে আর ট্রেনে হকারি নয়, হাওড়া ডিভিশনের নয়া নির্দেশিকায় মাথায় হাত হকারদের]
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রেপ্তারির জেরে বিড়ম্বনা বেড়েছে বিজেপির। তৃণমূলের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল, দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা যাদের বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হত না, তাদেরই নিজেদের দলে নিয়েছে বিজেপি। এবার ফের একবার তাঁদের সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “উনি পুরানো দিনের মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির টেন্ডার করেও কাজ না করা অন্যায় হয়েছে। অন্যায়ের শাস্তি পেতেই হবে।” এদিকে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলছেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হলেন বিষ্ণুপুরের প্রাজ্ঞ নেতা। তাঁকে এভাবে গ্রেপ্তার করা ঠিক হয়নি। বিষ্ণুপুর পুরসভায় বড়জোড়া থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত মহিলাকে প্রতিষ্ঠা করতেই পুলিশ প্রশাসন এক্ষেত্রে এতটা সক্রিয় হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।”