ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আড়াই বছরেই গেরুয়া শিবিরে মোহভঙ্গ। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন বীরভূমের নানুরের (Nanur) প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। শনিবার কীর্ণাহারে তৃণমূলের কর্মিসভায় তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানালেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। শুধু স্বাগত জানানোই নয়, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগঠক গদাধর হাজরাকে কীর্ণাহার ২ পঞ্চায়েতের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গদাধর হাজরা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। এলাকার রাজনীতির সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত তিনি। ৩৪ বছরের বামশাসনের পতন ঘটিয়ে ২০১১ সালে তৃণমূল যখন প্রথম রাজ্যের ক্ষমতায় আসে, নানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ঘাসফুল শিবিরের বিধায়ক হন গদাধর হাজরা। আর ২০১৯-এ দলবদলের প্রথম সারিতে বীরভূম থেকে যে দুই নেতা ছিলেন, সেই তালিকায় ছিলেন গদাধর এবং মনিরুল ইসলাম। এঁরা দু’জন দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর, কর্মব্যস্ত দিনে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা]
এরপর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে নানুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল গদাধরের। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল। ধীরে ধীরে মোহভঙ্গ হচ্ছিল। শোনা যায়, ২০২১এর বিধানসভা ভোটে গদাধর হাজরা নাকি নিজের বুথে তৃণমূলের হয়েই ভোট করিয়েছিলেন। গত বিধানসভায় নানুর থেকে জিতে তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন বিধানচন্দ্র মাজি। সেই সময় থেকেই গদাধর তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তবে ঘাসফুল শিবিরে তাঁকে নেওয়া হয়নি। অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। শেষমেশ শনিবার গদাধর হাজরার ইচ্ছে পূরণ হল। কীর্ণাহারে তৃণমূলের দলীয় সভায় তাঁর হাতে দলীয় পতকা তুলে দলে ফেরানো হল। সেইসঙ্গে দেওয়া হল সাংগঠনিক দায়িত্বও।