সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর করল সিবিআই। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছিলেন। এই ঘটনায় এতদিন পর অভিযোগ দায়ের হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ। সেই সময় কেন্দ্রের ভারী শিল্প এবং ইস্পাত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিযোগ, ২০১৬ সালে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে মেসার্স আশুতোষ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই ঘুষের ৫ লক্ষ টাকা এসেছিল বাবুল সুপ্রিয়র তৎকালীন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের অ্যাকাউন্টে। তবে এই মামলায় বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের নামে কোনও অভিযোগ নেই।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের যোগসাজশেই কবিগুরুর নোবেল চুরি’, অভিযোগ রাহুল সিনহার, পালটা দিলেন কুণাল]
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তার পর বালিগঞ্জের বিধায়কের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পিছনে রাজনীতি দেখছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,”বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। তাই বিজেপি তাঁর উপর রুষ্ট হয়েছে। এটা তো স্বাভাবিক। এমনকী, বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পর্যন্ত বাবুলের শপথ নেওয়া ঘিরে জলঘোলা করছেন। সেই সব সূত্রেই কোথাও কিছু হচ্ছে কি না, তা আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখব।” যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “উনি আমাদের দলে ছিলেন। এখন অন্য দলে গিয়েছেন বলেই কুৎসা করব না। কী হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হোক।”
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য পর পর দু’বার বিজেপির টিকিটে লড়ে আসানসোল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। পরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। গেরুয়া ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান বাবুল। সম্প্রতি তৃণমূলের টিকিটে জিতে বালিগঞ্জ থেকে বিধায়কও হয়েছেন তিনি।