সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজ্জর নিরীহ হলে লাদেনও নির্দোষ! কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে একহাত নিয়ে কটাক্ষ করলেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন। শুধু তাই নয়, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। রুবেনের সাফ কথা, আমেরিকা আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যা করেছে, ভারতও খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের সঙ্গে তাই করেছে।
১৮ জুন, ২০২৩ কানাডায় গুলি করে খুন করা হয় কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে (Hardeep Singh Nijjar)। সুরেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানের উপর গুলিবৃষ্টি করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। কে বা কারা নিজ্জর হত্যায় যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে কানাডা সরকারের অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছেন নিজ্জর খুনের নেপথ্যে রয়েছে ভারত সরকার। তার পর থেকেই নয়াদিল্লি ও কানাডার মধ্যে বেনজির কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে আমেরিকা।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে আমরা কানাডার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। ভারতের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। তদন্ত চলুক। কানাডার তদন্তে ভারতেরও সাহায্য করা জরুরি। আমরা চাই গোটা ঘটনার তদন্ত হোক এবং এর দায়বদ্ধতা থাকুক। অন্য দেশের জমিতে চালানো কোনও ধরনের দমনের ঘটনায় আমরা কড়া নজর রাখি। আর সব দেশেরই মাথায় রাখা উচিত, এমনটা যেন না করা হয়।”
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ কেন? ‘অচল’ নিরাপত্তা পরিষদকে তোপ ভারতের]
এদিকে, ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যের পরই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রুবিন। তাঁর সাফ কথা, “নিজ্জর নিরীহ হলে লাদেনও নির্দোষ। আমেরিকা আল কায়দা প্রধানের ও কাসেম সোলেমানির সঙ্গে যা করেছে, অভিযোগ সত্যি হলে ভারতও তাই করেছে। নিজ্জরের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে। এই সমস্ত কথা ব্লিঙ্কেনের মাথায় রাখা উচিত।”
উল্লেখ্য, ফের জেগে উঠেছে খলিস্তানি দৈত্য। ভারত ভেঙে পৃথক দেশ গড়ার স্বপ্নে মশগুল জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের শিষ্যরা। মূলত কানাডা থেকে আইএসআইয়ের মদতে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর এ নিয়েই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে। বিশ্লেষকদের মতে, এই এই টানাপোড়েনের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। কারণ, শিখ ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে খলিস্তানিদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ট্রুডো।