shono
Advertisement
Jalpaiguri

বাইকই যেন স্লেজ গাড়ি! উপহারের ঝুলি কাঁধে জলপাইগুড়ির অলিগলিতে ছুটছেন 'সান্তা' ভোলা

বড়দিন এলে জলপাইগুড়ি শহরের আট থেকে আশি সবাই জানে তিনি আসবেন।
Published By: Subhankar PatraPosted: 02:43 PM Dec 24, 2024Updated: 02:43 PM Dec 24, 2024

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দুচাকার বাইকটাই তাঁর স্লেজ গাড়ি। লাল টুপি, লাল ঝোলা। দুধ সাদা দাড়ি। জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় ছুটছেন আনন্দের ফেরিওয়ালা। বড়দিন এলে জলপাইগুড়ি শহরের আট থেকে আশি জানে তিনি আসবেন। ঝোলা থেকে বেরবে রকমারি খেলনা। চকোলেট। ব্যতিক্রম হল না এবারও। তবে এবার ঝোলায় ছিল আরও একটা জিনিস। তা হল খেলার সরঞ্জাম। সোমবার দুপুরেই শহরের রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন জলপাইগুড়ির সান্তা ক্লজ ভোলা মণ্ডল।

Advertisement

পাঁচ বছর আগে কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন ডাক বিভাগের কর্মী ভোলাবাবু। বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন পাশাপাশি পঞ্চাশ বছর ধরে সান্তা হিসেবে এই শহর চেনে তাঁকে।অসম্ভব এক ভালো লাগা থেকেই ১৯৭৪ সালে এই জার্নিটা শুরু করে ছিলেন তিনি।

শহরের চৌরাস্তা ঘুরে এদিন সান্তা ভোলা মণ্ডলের বাইক ছুটল খেলার মাঠের দিকে। একনম্বর গুমটি পার হয়ে ইউরেকা ক্লাব। ক্লাবের ছোট্ট মাঠে তখন খেলছিল সাগ্নিক চক্রবর্তী, কৌস্তুভ রাজভররা। আচমকা তাদের সামনে হাজির সান্তা। বলটার ছাল চামড়া উঠে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই নতুন ফুটবল কেনার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছিল। এদিন ঝুলি থেকে বের করে হাতে ধরিয়ে দিলেন নামী কোম্পানির একখানা ফুটবল। যা পেয়ে যারপরনাই খুশি সাগ্নিকরা।

শুধু তারাই নন জেওয়াইএমএ মাঠে খেলায় ব‌্যস্ত দুই কিশোরী এবং ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতেও খেলার সরঞ্জাম তুলে দিলেন ভোলাবাবু। সান্তা বেশে আসা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিবের হাত থেকে বড়দিনের আগে ক্রীড়া সরঞ্জাম উপহার পেয়ে খুশি ক্লাব কর্তারাও। ভোলাবাবুর কথায়, "খেলাধুলার প্রতি ছেলে মেয়েদের উৎসাহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ।" এদিন শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দেন খেলার সামগ্রী। বড়দিনের আগে প্রিয় উপহার পেয়ে খুশি সকলেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দুচাকার বাইকটাই তাঁর স্লেজ গাড়ি। লাল টুপি, লাল ঝোলা। দুধ সাদা দাড়ি। জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় ছুটছেন আনন্দের ফেরিওয়ালা।
  • বড়দিন এলে জলপাইগুড়ি শহরের আট থেকে আশি জানে তিনি আসবেন।
  • ঝোলা থেকে বেরবে রকমারি খেলনা। চকোলেট। ব্যতিক্রম হল না এবারও।
Advertisement