সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠেছিল। তিনি মার্লন স্যামুয়েলস (Marlon Samuels)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা। সেই ক্যারিবিয়ান তারকার ভাবমূর্তি নষ্ট হল। দুর্নীতিবিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে।
৬ বছরের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। তাঁর শাস্তি শুরু হয়েছে ১১ নভেম্বর থেকে। শাস্তি লাগু থাকবে ২০২৯ পর্যন্ত। স্যামুয়েলস ২০২০ সালের নভেম্বরে অবসর গ্রহণ করেন। তার পরেই কলঙ্কের দাগ লেগে গেল তাঁর শরীরে। দুর্নীতির দায়ে অতীতেও স্যামুয়েলস শাস্তি পেয়েছিলেন। তখন অবশ্য তাঁর কেরিয়ারের গোড়ার দিক। অবসর গ্রহণের পরে নতুন শাস্তি পেলেন।
[আরও পড়ুন: চুক্তি বাড়াতে আগ্রহী নন দ্রাবিড়! ভারতীয় দলের কোচের পদে এবার কে?]
২০১৯ সালে আবু ধাবি টি-টেন লিগের ঘটনায় স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডের তরফে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। আইসিসি-র ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬, ২.৪.৭ ধারা ভেঙেছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের টি-টেন লিগে স্যামুয়েলস কর্নাটক টাস্কার্স দলে ছিলেন।কিন্তু একটি ম্যাচও তখন খেলেননি স্যামুয়েলস।
২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন স্যামুয়েলস। ২০১২ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭৮ রান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে স্যামুয়েলস খেলেছিলেন অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস।
২০১৮ সালে শেষ বার তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। নভেম্বরের ২০২০ সালেই অবসর গ্রহণ করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ট্রাইবুনালের সদস্যদের অধিকাংশের সিদ্ধান্তে ২.৪.২ ধারা ভঙ্গের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকাকে। কোনও ধরনের উপহার, অর্থ বা অন্য কোনও ধরনের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার তথ্য দুর্নীতিবিরোধী কর্তাদের না জানানোয় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন স্যামুয়েলস। অধিকাংশ সদস্যই এই ধারায় স্যামুয়েলসকে দোষী বলে সাব্যস্ত করেছেন। বাকি তিনটি ধারাতেও ট্রাইবুনালের সব সদস্যই স্যামুয়েলসকে দোষী বলে মনে করেছেন।