সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ মাস পর বনবাসে ইতি! এলন মাস্কের (Elon Musk) হাত ধরে টুইটারে ফের সক্রিয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হ্যান্ডেল। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটি। যদিও আর টুইটার নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তিনি। ট্রাম্পের স্পষ্ট কথা, “এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই ভাল আছি। প্রচুর মানুষ ফলো করেন আমাকে।”
এলন মাস্ক দায়িত্ব নিলেই টুইটারে (Twitter) ফিরবেন ট্রাম্প। এমন একটা গুঞ্জন ছিলই। ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডেল ফেরানো উচিৎ কি না তা নিয়ে দিন দুয়েক আগে টুইটারে একটি ‘পোল’ বা ভোটাভুটির আয়োজন করেন ধনকুবের মাস্ক। জানতে চেয়েছিলেন, ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডেল কি ফেরানো উচিৎ? দেখা যায়, ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফেরানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। উলটোপথে হেঁটেছেন ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী। ভোটাভুটির ফল স্পষ্ট হতেই ট্রাম্পের টুইটার হ্যান্ডেলটি সক্রিয় করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: FIFA WC 2022: বড় ধাক্কা ফ্রান্স শিবিরে, চোটের জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন বেঞ্জেমা]
এ প্রসঙ্গে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন,”মানুষ মতামত জানিয়েছে। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুনরায় সচল করা হল।” সঙ্গে জুড়েছেন একটি ল্যাটিন শব্দবন্ধ- ‘Vox Populi, Vox Dei’, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘জনমতই ঈশ্বরের মতামত।’ যদিও টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া নিয়ে মোটেও উচ্ছ্বসিত নন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, এটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। এর পিছনে কোনও কারণও দেখছি না। টুইটার অ্যাকাউন্ট হারিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম এনেছেন ট্রাম্প। আপাতত তাতেই মজে তিনি।
উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। ট্রাম্পের টুইট উসকানিমূলক, হিংসায় মদত দেওয়া ও ভুয়ো তথ্য সম্বলিত বলে অভিযোগ উঠেছিল। একাধিকবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল টুইটার হ্যান্ডেল। তাতেও দমেননি ট্রাম্প। ভোট পরবর্তী ক্যাপিটল হিল হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অবশেষে একুশের ৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। অবশেষে ২২ মাস পর উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা। ফের টুইটারে ফিরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে টুইটারে কি সক্রিয় হবেন তিনি, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।