বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আগের তুলনায় অনেকটাই স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থা। রবিবার সকালে মেডিক্যাল বুলেটিনে হাসপাতালের তরফে এমনটাই জানানো হল। বর্তমানে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হৃদস্পন্দন (প্রতি ঘণ্টায় ৬০) ও রক্তচাপ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
কলকাতার আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বুদ্ধদেববাবুর। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখতে তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। বিশিষ্ট চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, বুদ্ধদেববাবুর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া করছেন। সচেতন আছেন, কথাবার্তা বলতেও সমস্যা হচ্ছে না। বর্তমানে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯২ শতাংশ। প্রস্রাবেও কোনও অসুবিধা নেই।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতার দায় শীর্ষনেতাদের’, দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো তন্ময়ের ‘মুখ বন্ধ’ করল সিপিএম]
গতকালই রেমডেসিভিরের কোর্স শেষ করেছেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনও শুকনো কাশি রয়ে গিয়েছে তাঁর। আজ তাঁর বুকের এক্স-রে করা হবে। প্রতিনিয়ত তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যদিও কবে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত দেননি চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে করোনায় (Corona Virus) আক্রান্ত হন সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বর্ষীয়ান নেতার সিওপিডি-র সমস্যাও রয়েছে। তবে বরাবরই হাসপাতালে ভরতির ক্ষেত্রে অনীহা তাঁর। তাই স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে (Mira Bhattacharya) হাসপাতালে ভরতি করা হলেও বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তবে মীরাদেবীর বাড়ি ফেরার পরের দিনই অর্থাৎ ২৫ মে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-র কাছাকাছি চলে যায় তাঁর। দুর্যোগের মধ্যে আর বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। তাই হাসপাতালে ভরতি করে তাঁর চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এখনও হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।