সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) দ্রুত ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিষ। শেখ হাসিনা প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ সত্ত্বেও মাথাচাড়া দিচ্ছে জামাতের মতো সংগঠনগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা’র চার সদস্যকে। অভিজিৎ রায়-সহ একাধিক মুক্তমনা ব্লগারের হত্যায় জড়িত এই সংগঠন।
[আরও পড়ুন: Bangladesh drone: বাংলাদেশে ড্রোন হামলার পরিকল্পনা জঙ্গিদের, ফাঁস ভয়ানক ষড়যন্ত্র]
জানা গিয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে বুধবার রাজধানী ঢাকার কদমতলী পৌরসভা সংলগ্ন রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার জঙ্গিদের আটক করা হয়। ধৃতরা হল- মহম্মদ রায়হান হোসেন ওরফে সাব্বির হোসেন রাইহান ওরফে আল রাব্বি (২২), তানভীর হোসেন (২১), মহম্মদ আমিনুল ইসলাম (২১), এবং সাগর ইসলাম ওরফে ইউসুফ বিন আব্দুর রকিব (২১)। এদের কাছ থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী বই, ৫টি বুকলেট, ২টি ছোড়া ও ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। রাজধানীর বারিধারায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া এন্ড আ্যওয়ারনেস) মহম্মদ আসলাম খান সাংবাদিকদের জানান, সাব্বির হোসেন রাইহান-সহ তার সহযোগীরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ কিংবা বাংলাদেশে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে অনলাইনে উগ্রবাদ ছড়ানো-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট করার পাশাপাশি আনসারুল্লা বাংলা টিমের পক্ষে সদস্য সংগ্রহের কাজ করে আসছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রায়হান হোসেন ওরফে সাব্বির হোসেন রাইহান মাতাউল হাজি আব্দুর লতিফ ভূইয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র। তানভীর হোসেন স্থানীয় হাজী মিছির আলী ডিগ্রি কলেজের ইন্টারমেডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে মহম্মদ আমিনুল ইসলাম ২০১৬ সালে রায়েরবাগ এলাকার বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ব্যবসা করছিল। অপর সদস্য সাগর ইসলাম ঢাকার গভ. ল্যাবরেটরি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পুলিশ সুপার আসলাম খান আরও জানান, তারা উগ্রবাদী বিভিন্ন বই ও বক্তৃতা অনলাইনে পোস্ট করে আগ্রহীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং নাশকতার জন্য পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিকিউরড গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে চ্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিল।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কদমতলী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।