দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গোসাবায় (Gosaba) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করল পুলিশ। এরা সকলেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ। সোমবার রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহৃত সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর পরই পুলিশ তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাধানগরে সোমবার তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোছাকুলি মোল্লা খুনের ঘটনায় ধৃতদের নাম ফারুক বৈদ্য, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা, আনার জমাদার। খুনের ঘটনার দলেরই একাংশ জড়িত, তেমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল হত্যাকাণ্ডের (Killing) পর থেকেই। ধৃতদেরও প্রাথমিক পরিচয় হিসেবে জানা যাচ্ছে, এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তারা। আরও কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে প্রেম, সংসার বাঁধতে ঘর ছাড়েন সমকামী দুই তরুণী! তার পর…]
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় থানার পূর্ব রাধানগর এলাকার বাসিন্দা মোছাকুলি মোল্লা। তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন তিনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব রাধানগর এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে। কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না, এই অভিযোগে কন্ট্রাক্টর তথা প্রতিবেশী বাকিবুর মোল্লার সঙ্গে অশান্তি বেঁধেছিল মোছাকুলির। তা অশান্তি ক্রমে চরমে ওঠে। অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় মোছাকুলিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গোসাবা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।