শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে ভাসছে চার-চারটি মৃতদেহ। রবিবার সন্ধেবেলা তা দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের (Asansol)কাল্লা এলাকায়। আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত কাল্লা ছাতাপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত পাথর খাদানে চারটি মৃতদেহ (Deadbodies) ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহগুলির মধ্যে রয়েছে ২ শিশুও।
রবিবার, মকর সংক্রান্তির সন্ধেবেলা স্থানীয়দের নজরে পড়ে চারটি দেহ ভাসছে কাল্লার এক পরিত্যক্ত পাথর খাদানের জলে। ওই মৃতদেহগুলির মধ্যে এক পুরুষ, এক মহিলা ও দুই শিশু রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। মনে করা হচ্ছে, একই পরিবারের সদস্য হতে পারে ওই চারজন। খাদানটি (Mine) প্রায় ৩০০ ফুট নিচে। সেখানেই দেহগুলি ভাসতে দেখা যায়। কীভাবে তাঁরা পাথর খাদানে পড়লেন, তা নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য।
[আরও পড়ুন: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ জনই মৃত, অভিশপ্ত মুহূর্তের অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। আসে উদ্ধারকারী দল। যদিও অনেক গভীর খাদান থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি রাত পর্যন্ত। দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। কীভাবে পাথর খাদানে ওই ওই চারজন পৌঁছল? সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, পাথর খাদানের উপরে ছোট্ট রাস্তা রয়েছে হতে পারে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় উপর থেকে তাঁরা পড়ে গিয়েছেন। নাকি স্নান করতে নেমেছিলেন তাঁরা? নাকি আত্মহত্যা?
[আরও পড়ুন: অবশেষে জামিনে মুক্ত জলপাইগুড়ি শবদেহ কাণ্ডে ধৃত সমাজকর্মী অঙ্কুর, চারদিন পর ফিরলেন ঘরে]
দুর্গম জঙ্গলে ভরা পরিত্যক্ত পাথর খাদানে রাত পর্যন্ত কাজ করে চারটি দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিপিআরডিও বা জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ”পাথর খাদানের জলে মৃতদেহ রয়েছে, এমন খবর পুলিশের কাছ থেকে পাওয়ার পরে উদ্ধারকারী দলকে এলাকায় পাঠানো হয়েছে। চারটি দেহ উদ্ধার হয়েছে শুনলাম। শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।”