সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উলটপুরাণ! চার তরুণীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ওই চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। ঘটনার কথা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিত ব্যক্তি জলন্ধরের বাসিন্দা। পেশায় এক চামড়া কারখানার শ্রমিক। তাঁর অভিযোগ, কুড়ি বছরের আশপাশে বয়স অভিযুক্ত চার তরুণীর। প্রথমে তাঁর চোখে কেমিক্যাল স্প্রে করে মাদক সেবন করানো হয়। তারপর একটি সাদা গাড়িতে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর গভীর রাতে নির্জন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। তাঁর চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখেছিল চারজন বলেও দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ষষ্ঠবার হার আর্জেন্টিনার, মারাদোনার সঙ্গে জুড়ল মেসির নাম]
তবে এত বড় ঘটনার পরও পুলিশকে কোনও অভিযোগ জানাননি তিনি। তবে মুখ খোলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। জানান, তিনি বিবাহিত। সন্তানের বাবা। তাঁর স্ত্রীর অনুরোধেই পুলিশের দ্বারস্থ হননি তিনি। স্বামী বেঁচে বাড়ি ফেরায় আর কোনও ঝক্কি নিতে চাননি নির্যাতিতর স্ত্রীও। তবে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) গোয়েন্দা বিভাগ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে।
কিন্তু ঠিক কী উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করেছিল চার তরুণী? ওই ব্যক্তির দাবি, যৌন হেনস্তাই ছিল তরুণীদের আসল উদ্দেশ্য। তিনি জানান, সোমবার কাজ থেকে ফেরার সময় হঠাৎই তাঁর সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। ভিতরে ছিল চার তরুণী। একটি ঠিকানা জিজ্ঞেস করার অজুহাতে ওই ব্যক্তিকে ডাকে। তারপরই চোখে স্প্রে করে দেয় কেমিক্যাল। অসহায় হয়ে পড়েন ব্যক্তি। সেই সুযোগেই তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয় তরুণীরা। সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ওই ব্যক্তিকেও জোর করে মদ খাওয়ায় তারা। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কিন্তু এহেন ঘটনার পর থেকেই মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন ওই ব্যক্তি।