সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মাত্র চারদিন আগেই বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর মণ্ডলের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। আর শনিবার সেই পদাধিকারীদের অনেকেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার বর্ধমানের বেড় মোড়ে এক অনুষ্ঠানে সেইসব বিজেপি নেতাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। যা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানান, বিজেপি যুব মোর্চার শহরের ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি অমিত অধিকারী, সম্পাদক শুভদীপ হাজরা, বুথ সভাপতি সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়, যুব মোর্চার ৪ নম্বর মণ্ডলের সদস্য নেপালবাউল দাস, লিগাল কমিটির সদস্য শেখ বাপন এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নে সামিল হতে এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করার জন্য বিজেপির যুব মোর্চার এই পদাধিকারীরা যুব তৃণমূলে যোগ দিলেন।” রাসবিহারী অভিযোগ করেন, বিজেপি যুব মোর্চা কমিটিতে যে পদ দেওয়া হয়েছে তা অনেকে জানতেনও না। এমনকী পঞ্চম শ্রেণি পাশ একজনকে লিগ্যাল কমিটির সদস্য করেছে যুব মোর্চা। তিনি বলেন, “বিজেপি পদ দেওয়ার লোক পাচ্ছে না। অস্বচ্ছ ব্যক্তিরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। আর যারা ভাল তারা তৃণমূলে ফিরে আসছে।”
[আরও পড়ুন: বছর শেষে পর্যটকের ঢল, যাত্রী নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্টেশনে মোতায়েন অ্যান্টি সাবোটেজ বাহিনী]
যদিও বিজেপি যুব মোর্চার শহর সভাপতি শুভম নিয়োগী দাবি করেন, ২২ ডিসেম্বর কমিটি গড়া হয়। তবে বিশেষ কারণে ২৩ ডিসেম্বর সেই কমিটি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল ভয় দেখিয়ে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে দলে টানছে। অনেকেই ভয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তারা ফোন করে জানিয়েছে মনটা তাদের বিজেপিতে থাকছে।” তিনি আরও দাবি করেন, যুব তৃণমূলের অনেকেই এমনকী যুব সভাপতিও তলে তলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যেকোনও দিন বিজেপিতে যোগ দিলে কেউ অবাক হবে না। বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল (TMC)।