বাবুল হক, মালদহ: বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে বিপত্তি। পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল চারজনের। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার জাজল গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনায় জখম আরও তিনজন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এদিকে, হাওড়া ব্রিজে দু’টি বাসের মুখোমুখি ধাক্কায় জখম অন্তত ১২ জন।
মালদহের হবিবপুর থানার কানতুর্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের লানসা এলাকার বাসিন্দা অন্তত ১২ জন ভ্যানে চড়ে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথ নিমন্ত্রণ সেরে ফেরার পথে গোয়ালবাড়ি এলাকায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ভ্যানটির ধাক্কা লাগে। স্থানীয়দের তৎপরতায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেককে স্থানীয় বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বছর চারেকের শিশু অভিজিৎ হাঁসদা ও শুকুরমণি নামে দু’জনের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে আসতে হলে মাথা নত করতে হবে’, শোভনের ঘরওয়াপসির জল্পনায় মুখ খুললেন রত্না]
বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাতেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। নিহতেরা হলেন অমল মাহাতো ও সুকুমার টুডু। এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনজন। তাঁরা হলেন, বছর চল্লিশের মিরা সোরেন, ৩২ বছর বয়সি প্রমিলা সোরেন এবং মঙ্গল মার্ডি। মঙ্গল ৩৫ বছর বয়সি। আপাতত দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জেরে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে হাওড়া ব্রিজের সাত নম্বর পিলারের কাছে দু’টি বাসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। হাওড়া ব্রিজের ৬ নম্বর পিলারের কাছে বকুলতলা থেকে ধর্মতলাগামী একটি ৫৯ নম্বর রুটের বাসের সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে হাওড়ামুখী বাসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। তাতে কমপক্ষে ১২ জন বাসযাত্রী জখম হন। হাওড়া সিটি থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় আহতদের। অফিস টাইমে দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া ব্রিজে যানজট তৈরি হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসগুলিকে সরানোর পর যানচলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।