সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে মুম্বইয়ে (Mumbai)। আর মরসুমের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাণিজ্যনগরী। অধিকাংশ রাস্তায় কার্যত বন্ধ যানচলাচল। তার মাঝে বিপত্তি। বুধবার রাতে মালাড এলাকায় একটি চারতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। জখম হয়েছেন ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে জোর তল্লাশি।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে রাত ১১টা নাগাদ। সেই সময় বাড়ির ভিতরে থাকা প্রায় সকলেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন। আচমকাই একটি বিকট শব্দ পান স্থানীয়রা। হুড়মুড়িয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। দেখেন, ধুলোর চাদরে ঢেকে গিয়েছে সর্বত্র। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা বুঝতে পারেন একটি চারতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে (Four-storey building collapsed)। তার জেরে পাশে থাকা একটি বাড়িও ভেঙে গিয়েছে। আরও দুই-তিনটি বাড়ির অবস্থাও বেশ বিপজ্জনক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনে। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল পৌঁছনোর আগে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ শুরু করে দেন। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে একে একে ১১ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৮ জন জখম হয়েছেন। সাতজনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ব্যাংক ও ATM থেকে টাকা তোলার নিয়মে বড়সড় বদল আনছে SBI, জানুন বিস্তারিত]
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আসলাম শেখ। বিপর্যস্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রবল বৃষ্টির ফলে চারতলা বাড়িটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি বাড়ির অবস্থাও বিশেষ ভাল নয়। যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে অঘটন। তাই ওই বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আরও কয়েকদিন মুম্বইয়ে বৃষ্টি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েকদিন পুণের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও গুজরাটের কাছে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় মহারাষ্ট্রের উত্তরাংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।