শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: উদ্বেগের মাঝেও মিলল সুখবর। ১০ দিনে সুস্থ হয়ে কোভিড হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাসিন্দা এক শিশু। বছর চারেকের ওই শিশুকে শুক্রবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। একরত্তির বাবা-মায়ের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কারও পরীক্ষা রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি। আপাতত করোনা জয়ী ওই শিশুকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাবা-মা ছাড়া আর কেউ নেই ওই শিশুর। নিজের জেলায় সেভাবে আয় হত না বলেই দাবি শিশুর বাবা-মায়ের। তাই বাধ্য হয়ে উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। মেয়েকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। লকডাউনের আগে দিব্যি দিন কাটছিল। তবে লকডাউন শুরু হওয়া মাত্রই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তার ফলে আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম কয়েকদিন খাবার মিলেছিল। তবে শেষের দিকে আর খাবারও জোটেনি পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি এবং তাঁদের সন্তানের। তাই বাধ্য হয়ে নিজের জেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করেন তাঁরা। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গত ১০ মে উত্তরপ্রদেশ থেকে হেমতাবাদে ফেরেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, মহারাষ্ট্র ফেরত যুবককে বাড়িতে ঢুকতে বাধা প্রতিবেশীদের]
বাড়ি ফেরার পর থেকেই তাঁদের খুদে শিশুকন্যা অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর আসে। তাতেই সন্দেহ হয়। শিশুর নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায় খুদে করোনা আক্রান্ত। তাকে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চলে চিকিৎসা। ১০ দিনেই সুস্থ হয়ে ওঠে একরত্তি। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। খুদে করোনা যোদ্ধাকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে। আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাকে।
শিশুর সংস্পর্শে আসায় তার বাবা-মায়েরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। তবে এখনও শিশুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি। তাদের রিপোর্ট হাতে আসার পরই জানা যাবে তাঁরা আদৌ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা। তবে মেয়ে করোনামুক্ত হওয়ায় খুশি তার বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: স্থানীয় স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলায় তীব্র আপত্তি, ৬ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ চাকদহে]
The post ১০ দিনে করোনামুক্ত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সন্তান, স্বস্তিতে দুধের শিশুর বাবা-মা appeared first on Sangbad Pratidin.