সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৭৬টি মসজিদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ফ্রান্সের প্রশাসন। তদন্তে ওই মসজিদগুলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন টুইট করেন, বিচ্ছিন্নতাবাদ (separatism) ও ধর্মীয় মৌলবাদী (terrorism) কাজকর্মে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৭৬টি মসজিদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। যদি কোনওভাবে প্রমাণ হয় যে ওই মসজিদগুলির মধ্যে একটিতেও সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে তাহলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আসলে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সন্দেহজনক মসজিদগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ। এই কারণে ইতিমধ্যেই ৬৬ জন বিদেশি নাগরিককে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার।
[আরও পড়ুন: করোনাযুদ্ধে বড় পদক্ষেপ, এপ্রিল থেকে দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা ইমরানের]
স্কুলের পড়ুয়াদের হজরত মহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন দেখানোর জন্য ফ্রান্স (France) -এর এক শিক্ষককে নৃংশসভাবে হত্যা করে এক জেহাদি। এরপরই এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যার জেরে আরব দেশগুলি-সহ প্রায় গোটা মুসলিম বিশ্বেই ফ্রান্সে উৎপাদিত হওয়া পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমালোচনা করার পাশাপাশি ফ্রান্সের নাগরিকদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অনেকে।পরে ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী মিশরে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে তাঁরা সম্মান করেন বলেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। উলটে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের প্রতি ক্ষোভ বাড়তে থাকে। যদিও তাতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার যে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না সন্দেহজনক মসজিদগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্তে ফের তা প্রমাণ হল।