সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কাজে উসকানি দেওয়ার জেরে মামলা চলছিল। তাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের এক ইমামকে ১৮ মাসের জেলের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি দেশ থেকেও বহিষ্কার করল ফ্রান্স। জেলের সাজা শেষ হলেই তাকে তাড়িয়ে দেওয়া দিতে নির্দেশ দিল প্যারিসের একটি আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে পাকিস্তান থেকে ফ্রান্সে এসেছিল লুকমান হায়দার। গত চার বছরে প্যারিসেই বেশি সময় কাটিয়ে কয়েকমাস আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় পাকিস্তানি অধ্যুষিত ভিলিয়ার্স-লে-বেল এলাকায় ডেরা বাঁধে। পাকিস্তান থেকে দারিদ্র্য দূর করাই তার মূল উদ্দেশ্য বলে দাবি করলেও মূলত ইসলামিক মতবাদের প্রচার করত লুকমান।
[আরও পড়ুন: কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে মার পুলিশের, ফ্লয়েড কাণ্ডের স্মৃতি উসকে বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স]
কিন্তু, গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্যারিসের শার্লি এবদো (Charlie Hebdo) পত্রিকার প্রাক্তন অফিসের সামনে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনটি উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করে সে। যে ভিডিওগুলিতে হামলাকারীর তুমুল প্রশংসা করে ওই ইমাম। বলে, ‘ওই বীর পুরুষকে পাকিস্তানের সবাই চিনে গিয়েছে। নবীর কাছ থেকে মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছে।’ এর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে বেশ কিছু মন্তব্যও করে লুকমান।
বিতর্কিত ওই ভিডিওগুলির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার করে মামলা শুরু করা হয় লুকমান হায়দার নামে ওই পাকিস্তানি নাগরিকের নামে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৮ মাসের জেল দেয় প্যারিসের একটি আদালত। আর সেই জেলের মেয়াদ শেষ হলে ফ্রান্স থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব প্যারিসে সাপ্তাহিক ব্যঙ্গ পত্রিকা ‘শার্লি এবদো’র পুরনো অফিসের কাছে ছুরি নিয়ে হামলা চালাল এক আততায়ী। এর ফলে জখম হয়েছিলেন দু’জন।