সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোভিয়েত জমানার ভয়াবহ নার্ভ এজেন্ট নভিচক হামলার শিকার হয়েছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি। এবার এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স ও সুইডেনের গবেষণাগার। সোমবার এমনটাই দাবি করেছে জার্মানি।
[আরও পড়ুন: ‘ইউহানের ল্যাবেই তৈরি হয়েছে করোনা ভাইরাস, প্রমাণ দেখাতে পারি’, দাবি চিনা গবেষকের]
এদিন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নাভালনির শরীর থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করেছে ফ্রান্স ও সুইডেনের দু’টি গবেষণাগার। ‘নিরপেক্ষ তদন্তের’ স্বার্থে ওই দুই দেশকে নমুনা পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিল জার্মানি। এবার তারাও নিশ্চিত করেছে যে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রবল সমালোচক নাভালনির শরীরের নভিচকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। রাশিয়াকে একহাত নিয়ে সেইবার্ট দাবি করেন, নভালনির উপর হওয়া হামলার ঘটনায় বিবৃতি দিক মস্কো।
গত মাসের ২০ তারিখ সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে বিমানে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি ( Alexei Navalny)। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। নাভালনি ঘনিষ্ঠদের প্রাথমিক ধারণা, টমস্ক বিমানবন্দরে তাঁর চায়ে বিষ মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। কোমায় আচ্ছন্ন হন তিনি। সেটা বিষের প্রভাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। এরপর নাভালনির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকায় জার্মানির বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরছে রাশিয়ার (Russia) বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির। এমনটাই জানিয়েছে বার্লিনের চ্যারিটি হাসপাতাল। কে বা কারা ওই রুশ নেতার উপর বিষপ্রয়োগ করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা তদন্ত। এই হামলার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করে গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাতিলের হুমকি দিয়েছে জার্মানি। মস্কোর কাছে ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ’ তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘও। ফলে সব মিলিয়ে রীতিমতো চাপে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসী নীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, দাবি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের]
The post বিষ দেওয়া হয়েছিল নাভালনিকে, এবার নিশ্চিত করল ফ্রান্স ও সুইডেন appeared first on Sangbad Pratidin.