সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্রান্স দল মানেই খেলার বাইরেও সমানে বিতর্কের খেলা। আর এই বাইরের খেলায় বহুবার শক্তিশালী হয়েও বড় প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ফরাসি দলকে। গতবার ইউরোর উদাহরণ তো হাতের কাছে। নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় কীভাবে ভেঙে পড়েছিল পুরো দলটা। এবার অবশ্য পুরো তৈরি হয়েই এসেছে দেঁশর দল। কিন্তু এর মধ্যেই দেশের রাজনৈতিক আবহ ফের উত্তপ্ত করে তুলেছে ফ্রান্স (France Football Team) দলকে। আর ঠিক কোন সময়? না, যখন অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ইউরো (UEFA Euro 2024) অভিযান শুরু করতে চলেছেন এমবাপেরা। স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রতি নির্দেশ এসেছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নে কোনরকম উত্তর দিতে পারবেন না ইউরো খেলতে যাওয়া দলের কোনও ফুটবলার। তবে নির্দেশটা যে এমবাপে আর দেঁশকে লক্ষ্য করেই এসেছে বলাই বাহুল্য। কারণ, ইউরোর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকতেই হবে কোচ দেঁশ এবং অধিনায়ক এমবাপেকে। তবে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেঁশ এসব থেকে দলকে দূরে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন। ইউরোর প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এদিন সাংবাদিক সম্মলনে এসে দেঁশ প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট সম্মানজনক কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: বিদায়ের লজ্জা নিয়ে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বাবরের মুখে! সতীর্থদের দুষে কী বললেন পাক অধিনায়ক?]
সবাই যখন অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগেই ফ্রান্সকে অনেকটা এগিয়ে রেখেছেন, দিদিয়ের দেঁশ তখন বলছেন, “অস্ট্রিয়াকে যতটা হালকা করে দেখা হচ্ছে, ততটা ওরা নয়। শেষ কয়েক বছর ধরে ওরা ভীষণভাবেই উন্নতি করেছে। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে নেশনস লিগে খেলার সময়েই দেখেছি, অস্ট্রিয়া কতটা ভাল দল। ম্যাচটা জিততে গেলে মাঠে নেমে ভাল খেলেই জিততে হবে। কেউ যদি ভাবেন, আমাদের দলের নাম ফ্রান্স, আর আমরা মাঠে নামার আগেই ম্যাচটা জিতে গিয়েছি, তাহলে সে ভুল ভাবছেন।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থীদের মোকাবিলা করার জন্য ৩০ জুন এবং ৭ জুলাই জাতীয় পরিষদের দুই দফা নির্বাচন ডেকেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তারজন্যই এই মুখ বন্ধের সতর্কতা। কিন্তু এই নির্দেশ আসার আগেই ফরাসি দলের দুই ফুটবলার এই নির্বাচন সংক্রান্ত ইস্যুতে মন্তব্য করে যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করে বসে আছেন। এমবাপের দুই সহ ফুটবলার থুরাম এবং ডেম্বেলে ইতিমধ্যেই জার্মানিতে ইউরোর প্রস্তুতি শিবিরে রাজনীতি এবং ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্তব্য করে যথেষ্ট সারা ফেলে দিয়েছেন। তারমধ্যে থুরামের বাবা লিলিয়ান হচ্ছেন, জাতীয় ফুটবলের মহান এবং সামাজিক ইস্যুতে দীর্ঘদিনের কর্মী। ইতিমধ্যেই তিনি ফরাসি নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, জাতীয়তাবাদী দলগুলিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার।
[আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে ভারতের গ্রুপেই বাংলাদেশ, সুপার এইটে রোহিতদের বাকি প্রতিপক্ষ কারা?]
এদিকে আবার সকার ফেডারেশন বলেছে, ফুটবলাররা প্রত্যেকেই নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেন। ফেডারেশনের মতে, প্রত্যকেরই স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভোটে যাওয়ার প্রয়োজনীয় আহ্বানকেই সমর্থন করে। কারণ, এটা একটি গণতান্ত্রিক প্রয়োজন। আর ফরাসি দলেরও উচিত, যে কোনও ধরণের রাজনৈতিক চাপ এড়িয়ে যাওয়া।