shono
Advertisement

করোনার চোখরাঙানিতেও বাতিল নয়, ডিজিটাল বইমেলার আয়োজন করে পথ দেখাল ফ্রাঙ্কফুর্ট

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ভবিষ্যৎ কী?
Posted: 08:07 PM Oct 17, 2020Updated: 08:08 PM Oct 17, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী কালে অনেক কিছুই তো বাতিল হয়েছে। বিশেষত মেলা, উৎসবের মতো জমজমাট সমস্ত অনুষ্ঠান। জনগণের জমায়েত থেকে করোনার (Coronavirus) মতো মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এসব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বহু দেশের প্রশাসনকে। অনেক অনুষ্ঠান অবশ্য ভারচুয়ালিও হচ্ছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জনসংযোগের রাস্তা আরও প্রশস্ত হয়েছে। সেভাবেই পথ দেখাল ফ্রাঙ্কফুর্টের ডিজিটাল বইমেলা (Digital Book Fair)। করোনার চোখরাঙানিতে মোটেই চলতি বইমেলার আয়োজন থেকে পিছিয়ে আসেনি কর্তৃপক্ষ অথবা বাতিলও করেনি। বরং আরও বড় আকারে বইমেলাকে নিয়ে এসেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। দেশ,বিদেশের বহু প্রকাশনা সংস্থাই তাতে অংশ নিয়েছে। এভাবেই নিউ নর্মালে বইমেলার অন্য চিত্র ধরা পড়ল জার্মানির (Germany) শহরে। উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

বইমেলা মানেই তো বিশাল প্রাঙ্গণে ছোট, বড় নানা আকারের দোকান। বইপ্রেমীরা ভিড় করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বইয়ের পাতা উলটেপালটে দেখছেন, কেউ কেউ সেখানে দাঁড়িয়েই পড়েই ফেলছেন। একজনের বই দেখার ঠেলায় সুযোগ পাচ্ছেন না অন্য কেউ। বইপত্র কেনার পর বিল করতে গিয়ে ফের একপ্রস্ত দীর্ঘ লাইন। নানা দেশের বই, নানা ভাষার মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা – এসবই তো পরিচিত দৃশ্য। বছরভর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক কিংবা স্থানীয় স্তরের বইমেলার ছবি সাধারণভাবে এমনটাই। কিন্তু করোনার ধাক্কায় এটা নিউ নর্মাল (New Normal) যুগ। তাই বইমেলায় এই ছবি ফিরে ফিরে এলে বিপদবৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। অতএব, বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতেই হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনাযুদ্ধে সাফল্যের ফল, ভোটে জয়ী হয়ে ফের নিউজিল্যান্ডের কুর্সিতে জেসিন্ডা আর্ডের্ন]

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের (Frankfurt) বইমেলা আয়োজকরা করোনার ভয়ে মোটেই পিছিয়ে আসেননি। তাঁরা বরং ভেবেছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বইমেলার আয়োজন করা যাক। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাই নির্ধারিত সূচি মেনে গত ১৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে ডিজিটাল বইমেলা। চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এই বইমেলায় অবশ্য অনেক অভিজ্ঞতাই আর হবে না। যেমন, লেখক-পাঠক মুখোমুখি সাক্ষাৎ, আলাপ-আলোচনার কোনও সুযোগ থাকছে না। বাদ পড়ছে সকলের সামনে মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ পর্বও। কিন্তু পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান একই রকম থাকছে। অর্থাৎ মেলার শেষদিন ঘোষণা করে দেওয়া হবে পুরস্কারপ্রাপকদের নাম। কারণ, কর্তৃপক্ষের মতে, পুরস্কার লেখককে অনুপ্রেরণা এবং পরিচিতির পক্ষে অতি প্রয়োজনীয়। নাই বা দেখা-সাক্ষাৎ হল, পুরস্কার প্রদানে স্বীকৃতির আনন্দ তো কমবে না।

[আরও পড়ুন: ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ, উত্তাল পাকিস্তান]

ফ্রাঙ্কফুর্ট তো এভাবে বইমেলা আয়োজন করল। তাতে বইপ্রেমী মানুষজন ঢুঁ-ও মারছেন দিব্যি। নিউ নর্মালে পরিবর্তিত বইমেলার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। এই ছবি দেখে অনেকেই ভাবতে বসেছেন, তাহলে কলকাতা বইমেলার ভবিষ্যৎ কী। আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জানুয়ারিরে শেষ সপ্তাহে কলকাতায় বইমেলা বসে টানা ১০দিনের জন্য। ওই সময়ে শীত চলে যাওয়ার মরশুম। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন দেশে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনিতেই উৎসবের মরশুমে এখানে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। ওই সময়ে অন্যান্য বছরের মতো আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজন করলে বইপ্রেমীদের ভিড় অবধারিত এবং তাতে বিপদ যা হওয়ার, তাই হবে। তাহলে কলকাতা বইমেলাও কি হাঁটবে ডিজিটাল পথে? পথ কিন্তু দেখিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement