সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মিশেল বার্নিয়ে। তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বার্নিয়ের বয়স ৭৩। তিনিই ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সে নতুন গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী।
গত জুলাইয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। দেখা যায়, কোনও একক দল কিংবা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টে আসন সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে বামেরা। অপ্রত্যাশিত ফলাফলে অতি দক্ষিণপন্থীরা নেমে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যমপন্থী রেনেসাঁ পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান। এহেন পরিস্থিতিতে মিশেল বার্নিয়েকে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘ইনসিওরেন্স গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের’, জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতে জোর সওয়াল কেজরির]
জানা যাচ্ছে, প্রবীণ এই রাজনীতিক ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির সদস্য। বছর তিনেক আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের দল থেকেই অনুমতি পাননি। ২৭ বছর বয়সে প্রথমবার ল মেকার হয়েছিলেন মিশেল। পরবর্তী সময়ে ফরাসি সরকারগুলিতে বহুক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সামলেছেন বিদেশমন্ত্রী বা কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে তিনি গোটা বিশ্বের কাছেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত ২০১৬-২১ সালে ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারী হিসেবেই।
তবে এবার যে মিশেলের কাজটা নেহাত সহজ হবে না তাতে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল। ফ্রান্সের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়াল আতাল বছরের শুরু থেকেই মসনদে ছিলেন। এমনকী, নির্বাচন পরবর্তী ফ্রান্সে কেয়াকটেকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। এবার তাঁর পরিবর্তে মিশেলকে বাছলেন ম্যাক্রোঁ। ইতিমধ্যে বামেরা এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তাদের দাবি, নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো ফল তারা করলেও শেষপর্যন্ত একজন দক্ষিণপন্থীকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।