সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের টানাপোড়েন তুঙ্গে। এর মধ্যেই টুইটারের বিকল্প হিসেবে এক ভারতীয় অ্যাপের প্রচার করছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ব্যবসাও বাড়াচ্ছে অ্যাপটিও। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খেল ‘কু’ (Koo)। গ্রাহকদের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠল অ্যাপটির বিরুদ্ধে। সঙ্গে আবার অ্যাপের মালিকানায় চিনা যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এক ফরাসি সংস্থা জানিয়েছে, ‘কু’ অ্যাপ থেকে মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যেতে পারে ব্যবহারকারীর জন্ম তারিখ, ই-মেল আইডি, ফোন নম্বরের মতো গোপন তথ্য। সেই সংস্থার প্রধান রবার্ট ব্যাপতিস্তে বুধবার একটি ছবি প্রকাশ করেন। যেখানে দেখান, তিনি কী ভাবে ‘কু’ থেকে এক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পেরেছেন। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে এক ‘কু’ ইউজারের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এর পরই এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে চিন্তা বেড়েছে। উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে এই সংস্থা জানিয়েছিল আধার কার্ডের তথ্য কীভাবে ফাঁস হতে পারে।
[আরও পড়ুন : ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে’, টুইটারের শীর্ষকর্তাদের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের, হতে পারে গ্রেপ্তারিও]
চিন্তা বাড়িয়েছে অ্যাপটির চিনা যোগও। অ্যাপের মালিকানায় চিনের সংস্থার অংশীদারিত্ব রয়েছে। ফলে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্যও চিনের কাছে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অ্যাপ নির্মাতারা। বলছেন, কু-এর চিনা অংশীদার তাঁর অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে অ্যাপ সম্পূর্ণ ভারতীয় মালিকাধীন হয়ে যাচ্ছে। তাতেও অবশ্য বিতর্ক ধামাচাপা পড়েনি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে কৃষক আন্দোলনে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, বিভ্রান্তি বাড়াতে ছড়ানো হচ্ছে ভুয়ো তথ্যও। এই অভিযোগ এনে দু’শোরও বেশি টুইটার অ্যাকাউন্ট (Twitter Account) ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাইক্রো ব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন টুইটার অ্যাকাউন্টের তালিকা পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে প্রায় ১১৭৮টি অ্যাকাউন্টের লিংক দেওয়া হয়েছিল। যদিও এ প্রসঙ্গে টুইটার কর্তৃপক্ষ কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলে জানা যায়। তারপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটারের ক্লোন অ্যাপ ‘কু’-র পক্ষে সওয়াল করেন।