সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারাক্ষণ নেটদুনিয়ায় মগ্ম থাকে ছেলে-মেয়েরা। নাওয়া-খাওয়ার সময় পর্যন্ত ভুলতে বসেছে। সন্তানদের এই নেশা ছাড়াতে গিয়ে মারাত্মক কাণ্ড ঘটালেন বাবা। এমন কাজ করে বসলেন যাতে গোটা শহরের নেট ব্যবস্থা বিগড়ে গেল। এখন গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় দিন গুনছেন ফ্রান্সের বাসিন্দা।
অতিমারীর এই সময় যেন মানুষকে প্রযুক্তির আরও কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে। বিগত দিনগুলোয় অনলাইন ক্লাসই ছিল তাঁদের একমাত্র ভরসা। এর পার্শ প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি বাস্তব ভুলে ভারচুয়াল জগতে মগ্ন হয়ে গিয়েছে। এর নানা পরিণাম বিভিন্ন সময়ে চোখে পড়েছে। এবার দেখা গেল ফ্রান্সে।
[আরও পড়ুন: আনিস হত্যার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ, সাসপেন্ড আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মী]
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অজান্তেই এই কাণ্ড বাঁধিয়ে বসেছেন তিনি। ছেলে আর মেয়ে সারাক্ষণ নেটে মগ্ন থাকে। কোনও বারণই শুনতে চাইত না। সেই কারণেই বাড়িতে জ্যামার লাগিয়ে সন্তানদের আটকাতে চেয়েছিলেন ফ্রান্সের বাসিন্দা। জ্যামার সেট করতে গিয়েই হয় বিপত্তি।
এমনিতে ফ্রান্সে জ্যামার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্বেও জ্যামার ব্যবহার করেন ওই ব্যক্তি। আর তাঁর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এতটাই স্ট্রং ছিল যে গোটা একটা শহরের নেট ব্যবস্থা তছনছ হয়ে যায়। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি শহরের নেট ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞরা। পরে ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেস করে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। জানা যায়, ভোর তিনটের সময় এই কাণ্ড ঘটান ওই ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নেট ব্যবস্থা ঠিক করা হয়। তবে এই ঘটনার জন্য প্রচুর পরিমাণে জরিমানা হিসেবে দিতে হতে পারে ওই ব্যক্তিকে। পাশাপাশি তাঁর ছ’মাসের জেলও হতে পারে। আপাতত জ্যামারটি প্রশাসনিক আধিকারিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। উপযুক্ত তদন্তের পরই শাস্তি নির্ধারণ করা হবে।