সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেলিকম সংস্থা ও আধার কর্তৃপক্ষের মধ্যে দড়ি টানাটানিতে ফের একবার পিছিয়ে গেল মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের তারিখ। পয়লা ডিসেম্বর নয়, আপাতত নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারির আগে বাড়িতে বসে OTP বা ভয়েস গাইডেড সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার মোবাইল নম্বরকে আধারের সঙ্গে জুড়তে পারবেন না।
[জেনে নিন, কীভাবে বাড়িতে বসেই আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করাবেন]
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই কেন্দ্র নির্দেশ দেয়, প্রত্যেক মোবাইল ইউজারকে তাঁদের ফোন নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ করতে হবে। এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত দেশের বুক থেকে সন্ত্রাসবাদের শিকড় উপরে ফেলা। কারণ একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা ভুয়ো নামে সিম কার্ড সংগ্রহ করে সেটি নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার করছে। এই প্রবণতা রুখতে প্রত্যেক নাগরিকের মোবাইল নম্বর যাচাই করে দেখে নিতে চায় কেন্দ্র। সেই মতো নির্দেশও যায় টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে। কিন্তু গোড়াতেই দেখা যায়, পরিকাঠামোর অভাবে সেই পরিকল্পনা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্তত দেড় মাস আগেই এই প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
[বাড়িতে বসেই মোটা টাকা আয় করতে চান? পথ দেখাচ্ছে মোদি সরকার]
এর সঙ্গেই উঠে আসে প্রবীণ নাগরিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সমস্যার দিকটি। তাঁদের পক্ষে টেলিকম সংস্থাগুলির দপ্তরে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক ডেটা নতুন করে দেওয়া সম্ভব নয়। আদালতে ওই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, নাগরিকদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেই দিকটি মাথায় রেখে বাড়িতে বসেও মোবাইল নম্বর ‘রি-ভেরিফিকেশনের’ বন্দোবস্ত করতে হবে। কিন্তু এই পরিকল্পনাও চালু করতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি। এই প্রকল্পের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না বলে প্রথম থেকে তারা নিমরাজি ছিল। আর এবার টেলিকম সংস্থাগুলি ও তাদের লবি সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন দোষ চাপিয়েছে আধার কর্তৃপক্ষ UIDAI-এর উপর। তাদের অভিযোগ, কেন উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই একতরফা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র? টেলিকম সংস্থাগুলির দাবি, OTP-র মাধ্যমে মোবাইল নম্বর রি-ভেরিফিকেশন পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এই পদ্ধতির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে টেলিকম সংস্থাগুলি চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছে।
[২০০-রও বেশি সরকারি ওয়েবসাইটে ফাঁস আধারের তথ্য]
The post আধার কর্তৃপক্ষ ও টেলিকম সংস্থার মতবিরোধে ফের পিছল সংযুক্তির তারিখ appeared first on Sangbad Pratidin.