সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিং(Jayant Singh)! তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। দুধবিক্রেতা থেকে আড়িয়াদহের 'ডন'। সরকারি জমি দখল করে বিলাসবহুল বাড়ি। কীভাবে রাতারাতি বদলেছিল জয়ন্তর জীবন?
উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড় থেকে কিছুটা এগিয়ে প্রতাপ রুদ্র লেন। সেখানেই দুটি বাড়ি জয়ন্তর। একটা পুরনো বাড়ি। জনবসতিপূর্ণ এলাকার সেই বাড়িতে দিব্য চলছে ঘাটাল। এদিকে নতুন যে বিশাল বাড়ি, তা নাকি হয়েছে সরকারি জমির উপর। কয়েকবছর আগেও নাকি সেখানে খেলত এলাকার খুদেরা। শোনা যাচ্ছে, জয়ন্তর এই প্রভাব-প্রতিপত্তির নেপথ্যে এক প্রোমোটার। তাঁর হাত ধরেই শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন জয়ন্ত। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এলাকা কার্যত নিজের দখলে করে নেন। তোলাবাজি, হুমকি, খুনের চেষ্টা, মারধর, কী অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু জয়ন্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার দুঃসাহস দেখানোর ক্ষমতা ছিল না এলাকার কারও। এমনকী মতবিরোধ হলে জয়ন্তর হাত থেকে বাঁচতেন না তাঁর দলের লোকরাও।
[আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে পোস্ট করে মুছে দিল রাজভবন, তুঙ্গে বিতর্ক]
জানা গিয়েছে, এলাকায় কেউ জমি কিনলেও মোটা টাকা দিতেই হত জয়ন্তকে। আইন-আদালত কোনও কিছুরই পরোয়া করতেন না তিনি। ফলে নিজের মতো করে সাম্রাজ্য তৈরি করছিলেন। বিহার থেকে ছেলেদের নিয়ে আসতেন কাজে লাগানোর জন্য। শাসকদলের একাংশের দাবি, মদন মিত্রের আশেপাশে দেখা যেত জয়ন্তকে। যদিও এ বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "আমি কামারহাটির সব কিছুর সভাপতি। তবে জয়ন্তর সঙ্গে কোনও যোগ নেই। ওরা কেউ শাসকদলের ছায়ায় ছিল না। এ বিষয়ে সৌগত রায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টা দেখছে।"