সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই জেরায় ঠিকমতো উত্তর দিচ্ছেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র মারফত এমনই তথ্য জানা গিয়েছিল। তবে অসহযোগিতার অভিযোগ খারিজ করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, “১০০ বার সিবিআইকে সহযোগিতা করেছি।” এছাড়া তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই বলেও দাবি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যাওয়ার পথে একথা জানান তিনি। শনিবার ফের আসানসোল বিশেষ আদালতে তোলা হবে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে।
গত ১১ আগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই হেফাজতে নিজাম প্যালেসেই ছিলেন তিনি। শনিবারই শেষ হচ্ছে তাঁর সিবিআই হেফাজত। আসানসোল বিশেষ আদালতে তোলা হবে তৃণমূল নেতাকে। সূত্রের খবর, তদন্ত সংক্রান্ত নানা তথ্যের খোঁজে আরও চারদিন তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই। কারণ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে চায় অনুব্রতর আয়ের উৎস ঠিক কী? যা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি বলেই খবর। কারণ, সিবিআই জেরার ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল ঠিকমতো সহযোগিতা করছেন না বলেই অভিযোগ। যদিও শনিবার অনু্ব্রত সে অভিযোগ খারিজ করেন। ১০০ বার সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি তাঁর। অনুব্রতর আত্মীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকেও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের।
[আরও পড়ুন: শাস্তি নাকি ভালবাসা? নিজের পরানো সিঁদুর মুছিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী!]
তবে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা স্বাভাবিকভাবেই জামিনের পক্ষে সওয়াল করবেন। এছাড়াও অনুব্রতর দু’টি মোবাইল ফোন আইন বহির্ভূতভাবে সিবিআই নিয়েছে বলেই অভিযোগ জানাবেন আইনজীবীরা। জামিন, সিবিআই নাকি জেল হেফাজত হয় অনুব্রতর, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
এদিকে, শুক্রবার বোলপুরের কালিকাপুরে অনু্ব্রতর (Anubrata Mandal) ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই রাইস মিল থেকে একটি মোটরবাইক-সহ মোট ছ’টি গাড়ি পেয়েছে সিবিআই। বিলাসবহুল গাড়িগুলির মালিকানা নিয়ে প্রথমে জটিলতা তৈরি হয়। তবে পরে জানা যায় রাইস মিলে থাকা ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটির মালিক সিউড়ির এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা এবং বিলাসবহুল গাড়ি হাতিয়ে নিয়েছিলেন অনুব্রত। গাড়ি ফেরত চাইলে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’। গাড়িগুলি গরু পাচার সংক্রান্ত কোনও কাজে ব্যবহার হত কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।