সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুর্সি প্রস্তুতই ছিল। অপেক্ষা ছিল আনু্ষ্ঠানিকভাবে তা গ্রহণের। অবশেষে বহু প্রতীক্ষীত দিনটি এল। সর্বসম্মতিক্রমে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ফিউমিও কিশিদা (Fumio Kishida)। সোমবার স্থানীয় সময় সকালেই জাপ (Japan) পার্লামেন্টে শাসকদল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা ঢালাও ভোট দেন কিশিদার পক্ষে। বছর চৌষট্টির কিশিদা সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার উত্তরসূরী।
নতুন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে খুশি জাপানবাসী। হিরোশিমার (Hiroshima) এক পরিবারের সন্তান ফিউমিও কিশিদা। দেশ শাসনের দৌড়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জনপ্রিয় নেতা তারো কোনো। তবে মৃদুভাষী কিশিদাকে বেশি পছন্দ সকলের। তাই সোমবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অনায়াসেই জিতে গেলেন তিনি। সহকর্মীদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কিশিদা। তবে কোনও মন্তব্যই প্রথমে করতে চাননি। পরে অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, ”আমি নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত। সবরকম চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব এবং প্রতিটি বিষয় ভালভাবে সমাধান করতে পারব। সবমিলিয়ে, এটা একেবারেই আমার জীবনের নতুন যাত্রাপথ।”
[আরও পড়ুন: ইটালিতে বিল্ডিংয়ের উপর ভেঙে পড়ল আস্ত বিমান, মৃত ৮]
সোমবার পার্লামেন্ট হাউসে কিশিদা নির্বাচিত হওয়ার পরই নতুন মন্ত্রিসভা গুছিয়ে নিয়েছে। জাপানের নয়া ক্যাবিনেটে প্রায় একডজন নতুন মুখ। তবে সুগার মন্ত্রিসভা থেকে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকেই রেখেছেন কিশিদা। বিশেষত বিদেশমন্ত্রী তোসিমিৎসু মোতেগি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নবুও কিশি। মোতেগি বিভিন্ন কূটনৈতিক সমস্যা সমাধান করে ফেলেন খুব সহজে। তাই তাঁর উপরই ভরসা রেখেছেন কিশিদা। আর কিশি হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) ভাই। দায়িত্ব সামলানোর ব্যাপারে তাঁর পারফরম্যান্সও খুব ভাল।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে না তালিবান, আফগানিস্তানে ফিরতে চলেছে ‘অন্ধকার যুগ’]
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যন্ত কৌশলী কিশি এমনভাবেই মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন, যাতে কারও সঙ্গে মনোমালিন্য না হয়। অর্থাৎ প্রশাসনিক কাজের রাস্তা মসৃণ করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আর এখানেই কিশিদা শুরুতেই বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার কিশিদা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরই নিজের ইস্তফাপত্র দেন ইয়োশিহিদে সুগা। ফলে জাপানে শুরু হল ‘কিশিদা’ যুগ।