সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাদাগিরি রুখতে একজোট হয়েছে জি-৭ গোষ্ঠী। একই সঙ্গে তাইওয়ান সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সদস্য দেশগুলো। শুধু তাই নয়, বেজিংয়ের গাজোয়ারি মেনে নেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে চিনের (China)। একইসঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) আগ্রাসন চালিয়ে জাপান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চাইছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে লালফৌজ। প্রায় গোটা জলরাশিই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। লালফৌজের এই আগ্রাসানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে এসেছে আমেরিকা। এবার ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়িয়ে একজোট হল জি-৭ গোষ্ঠীর অন্য দেশগুলো।
[আরও পড়ুন: আমেরিকাকে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে’র বার্তা, হঠাৎ সুর নরম জিনপিংয়ের]
এই বিষয়ে মার্কিন (US) বিদেশ দপ্তরের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলো মনে করিয়ে দিতে চায় রাষ্ট্রসংঘের নিয়মাবলি মেনে চলার দায়িত্ব চিনেরও রয়েছে। জাপান সাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরে এই মূহুর্তে যা পরিস্থিতি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলে। ফলে ওই অঞ্চলগুলোতে বেজিং যদি নিয়ম ভেঙে জোর করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে তাহলে তা মেনে নেওয়া হবে না। আমেরিকার মতোই বাকি সদস্য দেশগুলো চিনের কড়া বিরোধিতা করবে।’ এছাড়াও বিবৃতিতে তাওয়ানের প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়। বিগত কয়েক দিন ধরে দ্বীপরাষ্ট্রটির সীমান্তে সামরিক মহড়া তীব্র করেছে জিনপিং প্রশাসন। বারবার সেদেশে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে লালফৌজ। দুদেশের মধ্যে বাড়তে থাকা চাপানউতোর নিয়েও চিন্তিত আমেরিকা-সহ জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন। এ নিয়ে চিন ও তাইওয়ান (Taiwan) দুদেশকেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্বশান্তির জন্যও এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
বলে রাখা ভালো, দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে রুখতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত মিলে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’বা কোয়াড জোট। কমিউনিস্ট দেশের এই আগ্রাসানে বিপন্ন মুক্তবাণিজ্য পথ। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।