সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনের যৌথ ঘোষণাপত্র বিশ্বের কাছে ইতিবাচক সংকেত। বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে একযোগে কাজ করতে সাহায্য করবে। ভারতের নেতৃত্বাধীন এই সামিট নিয়ে মত বেজিংয়ের।
শনি ও রবিবার নয়াদিল্লির বুকে আয়োজিত হয়েছিল জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit)। এই বৈঠকে রাষ্ট্রনেতাদের যৌথ ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে সার্বভৌমত্ব, একতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সকলে। শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। অশান্তির আবহে সবসময়েই জটিলতা এড়ানো উচিত বলে এক মত সকলে। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ – এই পন্থায় প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ইউক্রেনে নিরবচ্ছিন্ন শান্তির পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে এই যৌথ বিবৃতিতে। পাশাপাশি ভূখণ্ড দখলের ‘ষড়যন্ত্রে’ পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ পরিকল্পনায় নাম না করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে।
[আরও পড়ুন: ‘মাতৃসমা’ হাসিনার পায়ের কাছে বসলেন সুনাক! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আচরণে আপ্লুত নেটিজেনরা]
বৈঠক শেষে প্রথমবার জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে চিনের (China) বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এই ঘোষণাপত্র। কীভাবে আর্থিক উন্নতি করা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে একযোগে কাজ করা যায়, তার জন্য ইতিবাচক সংকেত দেওয়া হয়েছে এখানে।”
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে চিনের যোগদান নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছিল। এই সামিটে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসেননি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর বদলে বেজিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রিমিয়ার লি কিয়াং। নানা মহলে গুঞ্জন, নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে বেজিং যে বিতর্ক তৈরি করেছিল, তার জন্যই ভারতের পথ এড়িয়ে গিয়েছেন জিনপিং।