টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: “যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের টুঁটি চেপে ধরুন। টাকা আদায় করুন। না হলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। বাইরে জায়গা কেনা হয়ে গিয়েছে।” দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে বিতর্কে বিজেপি (BJP) বিধায়ক। বাঁকুড়ার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখাকে পালটা একহাত নিল রাজ্যের শাসকদল।
শুক্রবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তিনি বলেন, “কেউ কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন চাকরি দেবেন বলে। কেউ টাকা নিয়েছেন ঘর পাইয়ে দেবেন বলে। যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের টুঁটি চেপে ধরুন। টাকা আদায় করুন। না হলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। বাইরে জায়গা কেনা হয়ে গিয়েছে।” বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্য ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষেই। তৃণমূল নেতারা তাঁকে আক্রমণ করতে ভোলেননি। উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে শ্যামল সাঁতরা বলেন, “কুরুচিকর মন্তব্য করে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে বিজেপি বিধায়ককেই।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরের ৩ জেলার সংগঠনে রদবদল তৃণমূলের, স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে জোর]
তবে সমালোচনায় কিছু যায় আসে না বিজেপি বিধায়কের। তাঁর দাবি, উস্কানি নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় ছিল না। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই টাকা পুনরুদ্ধারের কথা বলেছেন বলেও পালটা সাফাই বিজেপি বিধায়কের। তিনি আরও বলেন, “আমি অশান্তি হওয়ার মতো কিছুই বলিনি।”
উল্লেখ্য, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ইডি’র হাতে এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তারির পর থেকে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বঙ্গ বিজেপি। নয়া পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল খোদ দাবি করেন পার্থ-অনুব্রতর গ্রেপ্তারিকে হাতিয়ার করেই এগোবে পদ্মশিবির। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের নির্ধারিত পথেই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই দলীয় নেতা-কর্মীকে বার্তা দিতে গিয়েছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। তবে তাঁর মন্তব্যই যে বিতর্ক তৈরি করবে, তা আশা করেননি অমরনাথ শাখা।