সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, পার্বতী অন্নপূর্ণা সংসারে সুখ-শান্তির প্রতীক আর শিব বৈরাগ্যের প্রতীক এক ত্যাগী পুরুষ। গণেশের মধ্যে পিতা-মাতা দু’জনের গুণই বিদ্যমান। মূর্তি তত্ত্ব অনুসারে, পার্বতীর স্থান শিবের বাম দিকে। আর গণেশের স্থান শিব ও পার্বতীর ঠিক মধ্যস্থলে। সে কারণে গণেশের শুঁড় যদি বাম দিকে থাকে, তবে তিনি মা পার্বতীর গুণাবলির দিকে ইঙ্গিত করছেন আশীর্বাদ কালে। আর গণেশের শুঁড় যদি ডান দিকে থাকে, তবে তিনি সিদ্ধিবিনায়ক, মোক্ষদানকারী। অর্থাৎ, তিনি শিবের গুণগুলি ধারণ করছেন এবং শিবভক্তদের আশীর্বাদ করছেন। তবে শাস্ত্রে রয়েছে, সিদ্ধিবিনায়ক মনের ইচ্ছেপূরণ করেন। অর্থাৎ সিদ্ধিদাতার কাছে যে কামনা নিয়ে দর্শন করবেন, তা পূর্ণ হবেই। তা ভাবছেন সিদ্ধিবিনায়কের দর্শন করতে মুম্বই যেতে হবে? একেবারেই নয়। কলকাতাতেই রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির।
[আরও পড়ুন: কোন বয়সে বিয়ে হলে বাড়বে পুরুষদের আয়ু? গবেষণায় এল অবাক করা তথ্য]
উত্তর কলকাতার বিখ্যাত মার্বেল প্যালেস এর পাশেই রয়েছে এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। আসলে এই মন্দিরটি কলকাতার বিখ্যাত মল্লিক পরিবারের। ইমামি গ্রুপের তত্ত্বাবধানে কলকাতার এই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরটি গত বছরই সংস্করণ করা হয়েছে।
মন্দিরে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় মঙ্গলারতি। মহাআরতি হয় সকাল ৭টা নাগাদ। খিচুড়ি ভোগ এবং মহাভোগ দেওয়া হয় তারপর। মন্দির বন্ধ থাকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত। তারপর বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে রাত ৯টা অবধি খোলা থাকে মন্দির।
যাবেন কীভাবে?
মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন থেকে দশ মিনিট হাঁটাপথে এই মন্দির।