সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টি ব্রাত্যই দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু উত্তর ভারতে চুটিয়ে ব্যাট করছে বর্ষা। ফলে গঙ্গার জলস্তরও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাতেই প্রমাদ গুনছেন উত্তরাখণ্ডের মানুষজন। কারণ যেভাবে জলস্তর বাড়ছে, তাতে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে উঠতে আর বেশি দেরি নেই বলে অনুমান। এলাকায় জারি হয়েছে বন্যার সতর্কতা। আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস৷ বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি আরও বাড়ার সম্ভাবনা৷
উত্তরাখণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যাপ্রবণ হয়ে পড়েছে ঋষিকেশ। এমনিতেই এখানে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। এখনও তার ব্যতিক্রম নয়। ফলে ক্রমাগত বৃষ্টিতে সমস্যা পড়েছেন পর্যটকরা। তার উপর জলস্তর বাড়তে থাকায় পর্যটন ব্যবস্থারও ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই এই এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঋষিকেশ-সহ গোটা উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে৷ যার ফলে বাড়বে গঙ্গার জলস্তর। এছাড়া হিমালয় অঞ্চলেও এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে পাহাড়ি এলাকা থেকে সমতলে নেমে গঙ্গার জলস্তর বাড়বে৷ এমনকী তা বিপদসীমার ঊর্ধ্বে উঠতেও বেশি সময় নেই। সব মিলিয়ে উত্তরাখণ্ডে সতর্কতা জারি হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেত্রী আসিয়া আনদ্রাবির বাড়ি সিল করল এনআইএ ]
ঋষিকেশে গঙ্গার জলস্তর পৌঁছেছে ৩৩৮.০৫ মিটারে। বুধবার সকালে মুষলধারে বৃষ্টির পর থেকে জলস্তর বাড়তে থাকে। স্থানীয়রা এখন খুব প্রয়োজন না থাকলে নদীমুখো হচ্ছেন না। ঋষিকেশে গঙ্গার জলস্তরের বিপদসীমা ৩৪০ মিটার। মনে করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আর একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে জলস্তর। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঋষিকেশের পাশাপাশি দেরাদুনেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বৃষ্টির পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কাও।
বছর কয়েক আগে মেঘভাঙা বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছে উত্তরাখণ্ড। ফলে গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে উঁকি মারছে সেই বছরের দুর্যোগের আশঙ্কা। তবে এখনও পরিস্থিতি অতটা খারাপ হওয়ার কোনও পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করলে বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
[ আরও পড়ুন: কর্ণাটকের রাজনৈতিক নাটকের নয়া পর্ব মুম্বইতে, শিবকুমারকে হোটেলে ঢুকতে বাধা ]
The post বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে গঙ্গার জলস্তর, ঋষিকেশে জারি সতর্কতা appeared first on Sangbad Pratidin.