সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গা দূষণের কথা নতুন নয়। বহু আগে থেকেই পরিবেশবিদরা এনিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ সেভাবে হয়নি। দূষিতই রয়ে গিয়েছে গঙ্গা। এবার ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল তার উপরই সিলমোহর দিল। জানাল, গঙ্গার জল একেবারেই পানের উপযোগী নয়। সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও উঠেছে, সিগারেটের প্যাকেটে যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কীকরণ লেখা থাকে, তাহলে গঙ্গার পাশে নয় কেন?
তবে শুধু গঙ্গার জল পান করা থেকেই তারা মানুষকে বিরত থাকতে বলছে, তা নয়। স্নানের জন্যও এই জল ব্যবহার করা উচিৎ নয় বলে জানিয়েছে তারা। গ্রিন প্যানেল জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই গঙ্গার জলে স্নান করে। এই জলই তারা পান করে। এতে শরীর খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে হরিদ্বার ও উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের মধ্যে গঙ্গার জল বেশি দূষিত বলে জানিয়েছে তারা।
[ কালামের বায়োপিক হোক বলিউডে, মিসাইল ম্যানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আরজি গম্ভীরের ]
ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বলেছে, মানুষ গঙ্গার জল পান করে ও এই জলে স্নান করে শ্রদ্ধায়। তারা জানেও না এর জন্য স্বাস্থ্যের কত বড় ক্ষতি হচ্ছে। “সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কীকরণ দেওয়া থাকে। বলা থাকে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে এক্ষেত্রে কেন মানুষকে নদীর জলের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জানানো হবে না?” বলেছে এনজিটি।
যে বেঞ্চ এই কথা বলেছে, তার নেতৃত্বে ছিলেন এনজিটির চেয়ারপার্সন এ কে গোয়েল। তিনি বলেছেন, গঙ্গার উপর বহু মানুষের শ্রদ্ধা রয়েছে। তারা জানেও না এই জল কতটা অস্বাস্থ্যকর। তাই না জেনেই তারা গঙ্গার জল পান করে। সেই কারণেই নোটিস জারি করা দরকার। গঙ্গার জল সম্পর্কে মানুষকে জানানো দরকার বলে জানান তিনি।
[ ভারত ‘বিশেষ’ শর্ত মানলেই চোকসিকে ফিরিয়ে দিতে রাজি অ্যান্টিগুয়া ]
গঙ্গাকে পরিষ্কার করার জন্য গ্রিন প্যানেল একটি মিশনও স্থির করেছে। এর নাম ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (NMCG)। এই প্রকল্প অনুযায়ী গঙ্গার তীরে ১০০ কিলোমিটার অন্তর অন্তর ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হবে। সেখানে লেখা থাকবে গঙ্গার জল পান বা স্নানের উপযোগী কি না। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে একটি ম্যাপ তৈরি করা হবে। সেখানে বলা থাকবে কোন জায়গার গঙ্গার জল পান কার যাবে আর কোথাকার জলে স্নান করা যাবে।
The post ‘দূষিত’ গঙ্গার পাড়েও বিধিসম্মত সতর্কীকরণের ভাবনা পরিবেশ আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.