সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে শুরু হবে করোনার প্রিকশন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথমে করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) তৃতীয় ডোজ পাবেন করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক বা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা। প্রিকশন ডোজ পাবেন কোমর্বিডিটিযুক্ত ষাটোর্ধ্বরাও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ঠিক কতদিন বাদে এই বুস্টার বা প্রিকশন বা তৃতীয় ডোজ পাওয়া যাবে? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, করোনার দ্বিতীয় এবং প্রিকশন ডোজের (Precaution dose) মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে এই অতিরিক্ত অর্থাৎ প্রিকশন ডোজের সময়ের ব্যবধান রাখা হবে কমবেশি ৯ থেকে ১২ মাস। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক সূত্র বলছে,”দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রিকশন ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হতে পারে ৯-১২ মাস। সরকারের টিকাকরণ (Vaccination) সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চালাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: Mann ki Baat: বছরের শেষ ‘মন কি বাতে’ও মোদির মুখে সেই ওমিক্রন সতর্কতা]
আসলে টিকাকরণের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যেকার সময়ের ব্যবধান নিয়ে একটা সময় চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে ছিলেন দেশবাসী। বিশেষ করে কোভিশিল্ডের (Covishield) ক্ষেত্রে। শুরুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হতে হবে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫ দিন। পরে সেটা আরও বাড়িয়ে করা হয় ৮৪দিন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত আদৌ বিজ্ঞানসম্মত নয়। নিতান্তই ঘাটতি মেটাতে এভাবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আঠেরোর অপেক্ষা নয়, বয়ঃসন্ধি পেরোলেই বিয়ে করতে পারে মুসলিম মেয়েরা! বলছে আদালত]
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি শুরু হয়ে ১১ মাসের বেশি সময় ধরে দেশে টিকাকরণ অভিযান চলছে। প্রথম দিকে টিকা পেয়েছেন করোনা যোদ্ধারা। তারপর ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ষাটোর্ধ্বদের। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ১৪১ কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি করে ডোজ পেয়েছেন। এখন দেখতে হবে, শেষপর্যন্ত ঠিক কতদিনের ব্যবধানে প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কারণ, এই সময়ের ব্যবধানের উপরেই নির্ভর করছে, শুরুর দিকে কারা কারা এই টিকা পাওয়ার যোগ্য হবে।