সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে চরম অরাজকতা। এতেই লক্ষ্মীলাভের পথ খুলতে চলছে ভারতের জন্য। বস্ত্রশিল্পের অন্যতম গন্তব্য হতে চলেছে কর্নাটক! দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যেই তৈরি হবে 'জিনস পার্ক'। ফলে আশা করা হচ্ছে, দেশে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়বে বিদেশি লগ্নিও।
জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার কর্নাটকের বৃহৎ-মাঝারি শিল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়ন মন্ত্রী এম বি পাটিল ঘোষণা করেন, কর্নাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াস ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (KIADB) বল্লারির কাছে সঞ্জিরায়ণকোটে 'জিনস পার্ক' তৈরি করবে। তিনি জানান, "ভারত জড়ো যাত্রার সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৫৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে লগ্নিকারী ও ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ খুঁজছেন। আর এর জন্য বল্লারি তাঁদের পছন্দের গন্তব্য হতে চলেছে। জিনস শিল্পে আকর্ষণ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।" উল্লেখ্য, বল্লারিকে ভারতের অন্যতম 'জিনস হাব' বললেও ভুল হবে না। এখানে পাঁচশোর বেশি কারখানা রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন হাজার হাজার শ্রমিক। এবার বিশ্বমঞ্চে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করবে বল্লারির 'জিনস পার্ক'।
বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। মসলিন থেকে শুরু করে জিনস ও অন্যান্য পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে। বিদেশের বহু ব্যবসায়ীরাই লগ্নি করেন বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানাগুলোতে। কিন্তু সম্প্রতি বেতন, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো একাধিক কারণে বেড়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। যা বড় আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন জিনিসপত্রের মতো কাঁচামালের দামও আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দর হাঁকাচ্ছেন বলে অভিযোগ। গত বছরের অক্টোবর মাসে বস্ত্র শ্রমিকদের প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন দুই শ্রমিক। পড়শি দেশের এই পরিস্থিতিই ভারতের জিনসের বাজার আরও চাঙ্গা করতে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে।