অর্ণব আইচ: ৯ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও নেভেনি গার্ডেনরিচের গোডাউনের আগুন (Gardenreach Fire)। এদিকে সেই গুদামের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু। রাজ্যের দাবি, ভাড়া দেওয়ার আগে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। যদিও পালটা গোডাউনের মালিক হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, যারা ভাড়া নিয়েছে অগ্নি সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া তাদের কাজ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২২টি ইঞ্জিন কাজ করছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তবে গুদামের ভিতরে কোথাও আগুন জ্বলছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। গুদাম থেকে এখনও কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে বলে খবর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এদিন দমকল মন্ত্রী বলেন, “এখানে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। সকলকে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি বারবার।” তিনি জানান, “আগুন নেভাতে সকাল থেকে দমকল ও পুলিশ কাজ করছে। তবে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কিন্তু অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দাহ্যবস্তু থাকায় আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ে।” এর পরই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, ”শুধু জায়গা ভাড়া দিলে হবে না। তার সঙ্গে সেই জায়গার রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। কোথা থেকে আগুন লেগেছে জানতে ঘটনার নির্দিষ্ট তদন্ত হবে।” লিজ দেওয়া গুদামটির মালিক বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, গুদামটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যারা সেই গোডাউন ভাড়া নিয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ বা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দিকে নজর রাখা তাঁদের দায়িত্ব।”
দমকল সূত্রে খবর, সকাল ১০টা নাগাদ তারাতলা রোডের হনুমান মন্দিরের কাছের কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলের কর্মীরা। ভিতরে কেউ আটকে ছিল না বলেই খবর। তবে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলবাহিনীকে।